বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: হালিশহর পুরসভায় আবার নাকি অদল বদল। আটজন কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
এ রাজ্যে দলবদলটা আর তেমন কোনও খবর নয়। একদল থেকে জিতে অন্য দলে চলে যাওয়াটা এখন মুড়ি–মুড়কির মতোই ব্যাপার হয়ে গেছে। একসময় তৃণমূল সবার দল ভেঙে নিজেদের দল ভারী করেছে, এখন সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। এখন তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক।
কয়েকদিন আগে হালিশহরে তৃণমূলের বোর্ড চলে গিয়েছিল বিজেপিতে। তাঁদেরই কেউ কেউ ফিরে এলেন তৃণমূলে। যদি বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়, ফিরে আসতেই পারেন। এতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু সেই দলবদলের পর্ব কিনা হল বিধানসভায়। ফিরে আসা কাউন্সিলররা বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বন্ধ করে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। যদিও বিধানসভায় দলীয় বৈঠক করা উচিত নয়, তবু মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে আলাদা করে কারও সঙ্গে কথা বলতেই পারেন।
তাই বলে, বিধানসভার প্রেস কর্নারে তাঁদের পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে হবে! একসময় সূর্যকান্ত মিশ্র বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন দিনের পর দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁকে কথা বলতে হয়েছে। তাঁর জন্য প্রেস কর্নার খোলা হত না। অথচ, আজ হালিশহরের কাউন্সিলরদের জন্য প্রেস কর্নার খুলে দেওয়া হচ্ছে! এই সাংবাদিক সম্মেলনটা তৃণমূল ভবনে করা যেত না? এমনকী নেত্রীর বাড়িতেও হতে পারত। এই দলবদলের প্রেস কনফারেন্স বিধানসভায় কেন হবে? যে তিন মন্ত্রী ও সরকারি মুখ্য সচেতক এই প্রেস কনফারেন্স করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা যাবে না!
এতজন ‘বহিরাগত’কে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করা হল। স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? নিশ্চিতভাবেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। কারণ, শাসক দল এসবের পরোয়া করে না। এই প্রেস কর্নারে যদি মুকুল রায় বা মহম্মদ সেলিম বা সোমেন মিত্র প্রেস কনফারেন্স করতে চান, অনুমতি দেওয়া হবে তো! যাঁরা এই প্রেস কনফারেন্স করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, দেখার ইচ্ছে রইল। নিশ্চিতভাবেই কোনও ব্যবস্থা হবে না। এমনকী তিরষ্কার বা ভর্ৎসনা করার সৎসাহসও নেই। স্পিকার মশাই যে নিতান্তই অযোগ্য, ধারাবাহিকভাবে সেই প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। এই ঘটনাটি আরও একটি নির্লজ্জ উদাহরণ মাত্র।