সোহম সেন
নানা মহল থেকেই দাবি উঠছিল, আইপিএল বন্ধ করা হোক। গোটা দেশে যখন মৃত্যুর মিছিল, তখন ক্রিকেটের নামে এই বিনোদন বন্ধ থাকুক।
অবশেষে আইপিএল বন্ধেরই সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। একেবারেই সময়োচিত সিদ্ধান্ত। জনতার আবেগকে উপেক্ষা করে আর যাই হোক, ক্রিকেট হয় না। তাছাড়া, আইপিএলের দুর্ভেদ্য বায়ো বাব্লের ভেতরেও ঢুকে পড়ল করোনার গ্রাস। ভারতে খেলতে এসে কোনও ক্রিকেটারের মৃত্যু হোক, এটা কাম্য নয়।
তাছাড়া, ক্রিকেটাররাও তো মানুষ। তাঁদেরও তো পরিবার আছে। ক্রিকেটাররা না হয় বায়ো বাব্লে রয়েছেন, সেখানে না হয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি। সেখানে না হয় উন্নত চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বাড়ির লোক বা আত্মীয়দের তো সে সুযোগ নেই। ফলে, প্রতিনিয়ত ফোন আসছে। কখনও শুনছেন বাবা অসুস্থ। কখনও শুনছেন, নিকট কোনও আত্মীয় মারা গেছেন। এইসব খবর শোনার পর তাঁদের ওপর মানসিকভাবে কতখানি চাপ পড়ে, তা সহজেই অনুমেয়। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলা যায়! এই পরিস্থিতিতে অন্যকে আনন্দ দেওয়া যায়।
তাই, বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। তার থেকেও ভাল লাগল বোর্ডের সংবেদনশীল আচরণ। তাঁরা নিজেদের ঘাড় থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেননি। প্রতিটি বিদেশি ক্রিকেটার যেন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেছেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকী, সাপোর্ট স্টাফ বা ধারাভাষ্যকারদেরও এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে বোর্ডের হয়ত কিছু আর্থিক ক্ষতি হল। কিন্তু এই কঠিন সময়ে যেভাবে তাঁরা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ালেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি অন্য দেশের ক্রিকেটারদের আস্থা আরও বাড়ল।