উত্তম জানা
বিজেপি ঠিক কী চাইছে? একেবারেই ধোঁয়াশা। লোকসভায় আঠারো আসন পাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে একটা হাওয়া তৈরি হয়েছে, এবার হয়ত বিজেপি আসতেও পারে। যত সময় গড়িয়েছে, সেই হাওয়া আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু বিজেপির বোধ হয় নিজেদের শক্তিতে বিশ্বাস নেই। তাই হাত বাড়িয়েছে তৃণমূলের দিকে।
তৃণমূলের যত বিক্ষুব্ধ, পা বাড়িয়ে আছে বিজেপির দিকে। কেউ যোগ দিয়েছে। কেউ দেওয়ার অপেক্ষায়। বিজেপির যা প্রার্থীতালিকা, তাতে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী রয়েছেন অন্য দল থেকে আসা। মূলত তৃণমূল থেকে আসা। এভাবে তৃণমূল থেকে আসা লোক দিয়ে যদি দলটা বোঝাই করা হয়, তাহলে সাধারণ লোকের আস্থা থাকবে তো!
লোকসভায় যে আঠারোটা আসন, তা কিন্তু মোটেই বিজেপির সাংগঠনিক ভোট নয়। একটা বড় অংশই ছিল বামেদের ভোট। আরও ভালভাবে বলতে গেলে তৃণমূল বিরোধী ভোট। যাংরা চেয়েছেন, যেভাবেই হোক, তৃণমূলকে সরাতে হবে। হাতের সামনে যাঁকে বিকল্প মনে হয়েছে, তাঁদের হয়েই বোতাম টিপেছেন। মূলত সেই কারণেই বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বিজেপি। কিন্তু কেউ কেউ এটাকে বিজেপির পক্ষে হাওয়া বলে ভেবে নিচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন, মানুষ বোধ হয় বিজেপির পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য বসে আছেন।
আর এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসটাই ব্যুমেরাং হয়ে উঠতে পারে। যাঁদের ওপর রাগ করে মানুষ বিজেপিমুখী হয়েছিল, তাঁদের হাতেই যদি বিজেপির পতাকা থাকে, তাহলে ফল কী হবে, বলা মুশকিল। তখন সেই লোকটিকে দলে নেওয়ায় রাগটা বিজেপির ওপরও গিয়ে পড়তে পারে। তার সুফল পেতেই পারে তৃণমূল। তাই অন্য দল ভাঙাতে গিয়ে তার ফল ভাল নাও হতে পারে।