এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ না জানান, কটাক্ষ করবেন না

সুমিত চক্রবর্তী

নন্দীগ্রামে মমতা!‌ অবশ্যই বড় একটা চমক। গত কয়েক মাসে এমন চমক সত্যিই দেখা যায়নি। শুধু চমক নয়, একইসঙ্গে মানতেই হবে, এটা একটা সাহসী সিদ্ধান্ত।

শুভেন্দু বিজেপিতে যাচ্ছেন, এই দেওয়াল লিখনটা অনেক আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। তাই, এর পেছনে কোনও চমকও নেই, কোনও সাহসিকতাও নেই। দুই মেদিনীপুরে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন, এ নিয়েও সংশয় নেই।

mamata10

কিন্তু সেই শুভেন্দুর খাসতালুকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এমন একটা ঘোষণা করতে পারেন, তা অনেকের ভাবনারও অতীত ছিল। এমনকী, তৃণমূল নেতারাও টের পাননি। তাঁরাও হয়ত আমজনতার মতো টিভি থেকেই জেনেছেন।

এত ভিড় দেখে নিছক আবেগে বলে ফেললেন!‌ মনে তো হয় না। সিদ্ধান্ত নিয়েই এসেছিলেন। এর পরিণতি কী, বেশ ভালই জানেন। ভবানীপুর থেকে দাঁড়াবেন কিনা, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। এই কঠিন সময়ে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন, এটাই বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

কিন্তু মুশকিলটা হল, এর পরেও কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, ভবানীপুরে হেরে যাবেন বুঝেই পালিয়ে গেলেন। এই জাতীয় মন্তব্য করলে তা যে নিজেদেরই হাস্যকর করে তোলে, এই বোধটুকুও তাঁদের থাকে না। ভবানীপুরে মমতা জিতবেন কিনা, সে নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে। কিন্তু ভবানীপুর যে নন্দীগ্রামের থেকে সহজ আসন, এ নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়। কেন্দ্র বদল যদি করতেই হয়, অন্তত একশোটা কেন্দ্র ছিল, যেগুলো নন্দীগ্রামের তুলনায় নিরাপদ।

কোনও সন্দেহ নেই, বেশ বড়সড় ঝুঁকিই নিলেন মমতা। ফল কী হবে, ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু নিজেকে নিরাপদে রেখে অন্যদের এগিয়ে দেওয়া নয়। নিজেকেই এগিয়ে দিলেন। এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতে না পারুন, কটাক্ষ না করাই ভাল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.