সোহম সেন
কারা জিতবে আই এস এলের ডার্বি? যারাই জিতুক, আসলে কিছুটা হলেও মানরক্ষা হবে আই এস এলের। এত বছর ধরে আই এস এল চলছে। কত ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে। কত বড় বড় তারকাদের আনা হয়েছিল। কিন্তু এতকিছু করেও জাতে তোলা যায়নি। প্রথম প্রথম যেসব ফিল্মের তারকাকা ভিড় জমিয়েছিলেন, সেই ভিড়ও আস্তে আস্তে পাতলা হয়ে গেল। হওয়ারই কথা, ফাঁকা গ্যালারিতে হাত নাড়তে কে আর আসবেন?
এটিকে নামের সঙ্গে যতই কলকাতা থাকুক, কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের হৃদয় থেকে সেটা যে অনেক দূরে, সেটা দেরিতে হলেও কর্তারা বুঝলেন। যতই সেই দলের সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলি থাকুন, ইটবেঙ্গল–মোহনবাগানের আবেগটাই অন্যরকম। গত পাঁচ–ছ বছরে সেটা আরও পরিষ্কার বোঝা গেল। আই এস এলের ফাইনালে যত না লোক হয়, তার থেকে ঢের বেশি লোক হয় কলকাতা লিগের ডার্বিতে।
তাই মোহন বাগান–ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্ভুক্তিতে এই দুই ক্লাব কতখানি উপকৃত হল, জানি না। তার থেকে ঢের বেশি অক্সিজেন পেল আই এস এল। বলা যায়, আই এস এলের পালে নতুন হাওয়া এল। এই দুই ক্লাব আপাতত আই এস এল–টাকে বাঁচিয়ে দিল।
এবারের ডার্বি হচ্ছে গোয়ায়। মাঠে দর্শকও নেই। নাই বা থাকল। টিভি তো আছে। মোবাইল তো আছে। নিশ্চিত থাকতে পারেন, এই আবহে এই ম্যাচকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হবে, তা আই এস এলের কোনও ম্যাচকে ঘিরে হয়নি। তাই আর দশটা ডার্বির থেকে এই ডার্বি অনেকটাই আলাদা। বলা যায়, ভারতীয় ফুটবল একলাফে দশ বছর এগিয়ে গেল। নীতা আম্বানিও বুঝবেন। চ্যানেলকর্তারাও বুঝবেন। তাই ডার্বিতে যেই জিতুক, আসলে জিতবে আই এস এল।