আনন্দমেলার শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে আগেই। এবার বেরিয়ে গেল আনন্দবাজার। অন্যান্য বছর জুলাইয়ের প্রথম সংখ্যাতেই বেরিয়ে যেত আনন্দমেলা। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বেরোতো আনন্দবাজার। এবার করোনা আবহে কিছুটা দেরিই হয়ে গেল। তবে এবার পুজো অনেকটাই দেরিতে। অক্টোবরের শেষদিকে। সেই কারণেই এই বিলম্ব হয়ে থাকতে পারে।
কলেবরের দিক থেকে অন্যান্য বারের মতোই। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নতুন শবর কাহিনি। সিনেমার দৌলতে শবর এখন বাঙালির পরিচিত গোয়েন্দা। ধরে নেওয়া যায়, এই উপন্যাস নিয়েও ছবি তৈরি হবে। এছাড়াও থাকছে আরও চারটি উপন্যাস। লিখেছেন কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, শেখর মুখোপাধ্যায়, সিচার বাগচী, সুবর্ণ বসু। থাকছে পাঁচটি গল্প। লিখেছেন সমরেশ মজুমদার, প্রচেত গুপ্ত, উল্লাস মল্লিক, সৌরভ মুখোপাধ্যায়, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী। প্রবন্ধে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়, পথিক গুহ, সেমন্তী ঘোষ, দেবাশিস ভট্টাচার্য।
সবমিলিয়ে সংখ্যাটি কেমন হল, তা বলার মতো সময় এখনও আসেনি। তবে করোনা আবহে অনেকেই যখন গৃহবন্দি, তখন অনেকটাই মুক্তির স্বাদ এনে দিতে পারে এই পুজো সংখ্যা। আশা করা যায়, অন্যান্য বছর যত লোক পড়তেন, এবার তার থেকে বেশি লোক পড়বেন। অন্তত সময় পাইনি, এই অজুহাতটা এবার ততখানি শোনা যাবে না। বিভিন্ন উপন্যাস নিয়ে বা সার্বিক পুজো সংখ্যা নিয়ে নানা আলোচনা হতেই পারে। বেঙ্গল টাইমসের পাঠকরা তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ওপেন ফোরামে তা প্রকাশিত হবে।