এক মাস আগে পৃথিবীকে ‘আলবিদা’ জানিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এই এক মাসে কত ঝড়ঝাপটা বয়ে গেছে বলিউডের ওপর। কত ঝড় উঠছে কত অচেনা অনুরাগীর হৃদয়ে। এক মাস পর সেই দিকে আলো ফেলার চেষ্টা। ধারাবাহিক লেখায় সুশান্ত সিংকে তুলে আনলেন ইন্দ্রাণী রাহা। আজ চতুর্থ পর্ব। পরপর সাতদিনে সাত কিস্তি। আপলোড হবে ঠিক সকাল আটটায়। চোখ রাখুন বেঙ্গল টাইমসে।
উচ্চবিত্তের সাধ আর নিম্নবিত্তের সাধ্য, এই দুই এর মধ্যে সমতা রক্ষা করে চলে যারা, তারা মধ্যবিত্ত। তাদের স্পর্ধার দুঃসাহস দেখানোর মধ্যেও থাকে আর্থিক টানাপোড়েন। তাই উদ্দেশ্য বা গন্তব্য ভিন্ন হলেও চলার রাস্তাটা প্রায় একই রকম, এমনকি পদ্ধতিটাও।
বাজারে চলতি কতকগুলো মোটিভেশনাল স্পিচ, বা সমাজের গতানুগতিক ধারার কিছু মহাপুরুষ এর জীবনী, যতই উৎসাহব্যাঞ্জক গল্পকথা শুনিয়ে থাকুক না কেন, বাস্তবে পথ চলা মানুষ গুলো জানে যে, স্বপ্নপূরণের রাস্তা কখনই স্বপ্নময় হয় না। তাদের প্রত্যেকের কাছেই আজ তুমি, আমিময়।
এক অনায়াস একাত্মতা আছে তোমার, নতুন প্রজন্মের কিশোর কিশোরীদের কাছে তুমিই তো ছিলে মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর আমরা যারা ধোনিকে আগে থেকেই জানতাম, তারা হলে সিনেমাটা দেখতে গিয়েছিলাম ধোনির ফ্যান হিসেবে। আর হল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম তোমার ফ্যান হয়ে।
তোমার গল্পটা সবাই জানে, আগে না জানলেও আজ জেনেছে। তুমি নিজেই বলেছ, শাহরুখ খান তোমার আদর্শ, তারই মতো করে তোমার আত্মপ্রকাশ, নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে আত্মপ্রতিষ্ঠা। কী অবিকল অনুকরণ ক্ষমতা তোমার।
জীবদ্দশায় আমাদের এতখানি আপন তুমি ছিলে না। কারণ, আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম যে যার মতো করে। পথ চলছিলাম তোমারই মতো। তাই তোমার হারিয়ে যাওয়াটা একা তোমাকে হারানো নয়, নিজেকেও যেন হারিয়ে ফেলা। তাই তোমার চলে যাওয়ার কারণগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, প্রতিশোধ চাই।
(পঞ্চম কিস্তি শনিবার, ঠিক সকাল আটটায়)