এক মাস আগে পৃথিবীকে ‘আলবিদা’ জানিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এই এক মাসে কত ঝড়ঝাপটা বয়ে গেছে বলিউডের ওপর। কত ঝড় উঠছে কত অচেনা অনুরাগীর হৃদয়ে। এক মাস পর সেই দিকে আলো ফেলার চেষ্টা। ধারাবাহিক লেখায় সুশান্ত সিংকে তুলে আনলেন ইন্দ্রাণী রাহা। আজ তৃতীয় পর্ব। পরপর সাতদিনে সাত কিস্তি। আপলোড হবে ঠিক সকাল আটটায়। চোখ রাখুন বেঙ্গল টাইমসে।
কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে পড়া মেয়েটির মনটা সেদিন থমকে গিয়েছিল, শ্বাস–প্রশ্বাসও হয়ত কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল, ইন্টারনেটে তোমার একটা ছবি দেখার পর। তোমার বাঁ গালের তিলে লাল চুমু, তুমি আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছো। সেই ছবি বোধহয় তুমিই টুইট করেছিলে।
কী হয়েছিল মেয়েটির, রাগ! নাহ্, রাগ তো হয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে। তোমার ওপর তার কীসের আর অধিকার! সেও তোমার এক অনুরাগী মাত্র।
তাহলে কি অভিমান! কিন্তু অভিমান তো প্রত্যাশা থেকে আসে; প্রতিদান পাওয়ার আশা। তার জন্য আগে কিছু দিতে হয়, তবে তো প্রত্যাশা।
সেই মুহূর্তের হীনত্ব তাকে একধাক্বায় অনেকখানি পরিণত করেছিল। মহত্ব ফুটে ওঠে উদারতায়, বদান্যতায়।
তাই বলে হীনত্ব কি ফেলনা নাকি, হীনত্ব আশ্রয় খোঁজে কল্পনায়, অসম্ভবের সম্ভবে তার দিনযাপন। তাই পড়ন্ত বিকেলের আলোর মতোই সে কল্পনায় বুনত পূর্বজন্মের কোনও অপ্রাপ্তি বা অসমাপ্ত কোনও গল্প, অথবা কোনও নাক্ষত্রিক সংযোগ। আজ তুমিও আকাশের নক্ষত্র।
আজ মেয়েটি জানতে পেরেছে, তুমি নাকি আকাশ দেখতে ভালবাসতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং উন্নত টেলিস্কোপ তোমার কাছে আছে। অবসর সময়ে তুমি নাকি তাতে চোখ রাখতে। শনির বলয় ছিল তোমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নাসার সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ছিল, চাঁদে একটুখানি জমিও কিনেছিলে। এত কিছু অজানা ছিল তার, আর তার মতো অসংখ্য অনুরাগীর। কিন্তু আজ তার সমস্ত কল্পসুখের সম্ভাবনা, কে বা যারা নস্যাৎ করে দিয়ছে, তারা আজ ও পর্দার আড়ালে। এতজন মানুষের এত কল্পনার নায়কের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদ নয়, প্রতিশোধ চাই।
(চতুর্থ কিস্তি শুক্রবার, সকাল আটটায়)