এমন একজন মানুষের শতবর্ষ। কতকিছুই না হতে পারত! হাজার হোক, সত্যজিৎ রায় বলে কথা। যদি লকডাউন না হত, বাংলাজুড়ে রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিত। নন্দনে সাতদিন ধরে চলত রেট্রোস্পেক্টিভ। হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যেত কলকাতার রাজপথ। চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে টিভি চ্যানেলের সান্ধ্য আলোচনা মুখর হয়ে থাকত তাঁকে নিয়ে।
কিন্তু সেসব কিছুই হল না। কিন্তু গৃহবন্দি থেকেও তো এই কিংবদন্তি মানুষটিকে নানাভাবে স্মরণ করা যেত। ফেসবুকে ছবি দেওয়া ছাড়া আর কতটুকুই বা করল বাঙালি! টিভি চ্যানেলগুলিও অদ্ভুত। এমন সময়ে দিনভর শুধু করোনা আর করোনা। সিনেমার চ্যানেলেও সত্যজিৎ রায় যেন ব্রাত্য। ইউটিউব বা হইচইয়ে ইচ্ছেমতো সিনেমা দেখা যায়। এই কদিনে, অখণ্ড অবসরে কজন বাঙালি দেখলেন সত্যজিতের ছবি? কজন পড়লেন ফেলুদা বা শঙ্কু?
কাগজগুলিও কী নির্লিপ্ত! বুড়িছোঁয়া একটু ছুঁয়ে যাওয়া। পত্রিকা বন্ধ। কিন্তু অনলাইন এডিশন তো করা যেত। এমন একজন ভার্সেটাইল জিনিয়াসের জন্ম শতবর্ষ এমন চুপিসারে পেরিয়ে যাবে! সীমিত সামর্থ্য নিয়েই এগিয়ে এল বেঙ্গল টাইমস। এবারের ই–ম্যাগাজিন সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। প্রচলিত আলোচনা ছাড়িয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিক থেকে কিংবদন্তিকে তুলে ধরার চেষ্টা।
https://www.bengaltimes.in/BengalTimes-SatyajitSpecial.pdfছবিতে ক্লিক করুন। বেঙ্গল টাইমসের ই ম্যাগাজিনটি খুলে যাবে।