গুপি ও বাঘাকে ভূতের রাজা তিনটি বর দিতে চেয়েছিলেন। গুপি–বাঘা কী চেয়েছিল? যেথা খুশি যাইতে পারি, যা খুশি খাইতে পারি, মনের সুখে গাইতে পারি। তিনটি চাওয়ার মধ্যেই ছিল বাঙালিয়ানার প্রকাশ। অর্থাৎ, বাঙালি একটু ঘুরতে ভালবাসে, একটু খেতে ভালবাসে, আর একটু গান গাইতে ভালবাসে। সে এতেই সন্তুষ্ট। আর কোনও জাতি সম্পর্কে এই কথাটা খাটে কিনা জানা নেই। গুপি–বাঘা বাঙালি না হয়ে অন্য কিছু হলে হয়ত অন্য কিছু চেয়ে বসত। যতই ঘরকুনো অপবাদ থাকুক, বেড়ানো বাঙালির রক্তে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, রাজস্থান থেকে অরুণাচল–যেখানে খুশি যান। দেখবেন আর কেউ থাকুক না থাকুক, বাঙালি পর্যটক আছেনই। হোটেলের খাতা দেখুন। সবচেয়ে বেশি বাঙালি পদবীই খুঁজে পাবেন।
শীত এলেই বাঙালির মন উড়ু উড়ু। সে কোথাও না কোথাও বেরিয়ে পড়তে চায়। প্রদীপ জ্বালানোর আগে থাকে সলতে পাকানোর পর্ব। সেই পর্বটা বোধ হয় শুরু হয় পুজোর অনেক আগে থেকেই। পুজো এলেই অনেকে বেরিয়ে পড়েন। কেউ পুজোর মাঝেই। আবার কেউ পুজো ফুরোলেই। কেউ ছোটেন পাহাড়ে, কেউ জঙ্গলে, কেউ সমুদ্রে। কেউ খোঁজেন ঐতিহাসিক জায়গা। কেউ বা ধর্মীয় পর্যটনে। কেউ আবার দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দেন।
ফলে, অনেকেরই হয়ত এক রাউন্ড ঘোরা হয়ে গেছে। আবার অনেকে পাড়ি দেন শীত এলে। কেউ ছোট্ট ছুটিতে, কেউ লম্বা ছুটিতে। যাঁর যেমন রুচি, যাঁর যেমন সামর্থ্য। ইচ্ছে ছিল নভেম্বরের শুরুতেই একটা ভ্রমণ সংখ্যা করার। কিন্তু ভ্রমণ বলতে তো অনেককিছু। নানারকম লেখাও হাজির। তাছাড়া, বেঙ্গল টাইমসে আগে প্রকাশিত কিছু লেখাও আছে। দেখা গেল, শুধু পাহাড় নিয়েই তো অনেক লেখা। তা দিয়েই পাঁচখানা সংখ্যা করে ফেলা যায়। আস্ত ‘পাহাড় অমনিবাস’ হয়ে যায়। তাই, জঙ্গল–সমুদ্র আপাতত তোলা থাক। পাঁচমিশেলি ভ্রমণের পথে না গিয়ে আপাতত পাহাড়ের ডাকেই সাড়া দেওয়া যাক। বাকি ভ্রমণের লেখাগুলি না হয় অন্যান্য সংখ্যায় দেওয়া যায়। এমনকী, আরও কিছু লেখা জমা হলে আলাদা করে জঙ্গল সংখ্যা বা সমুদ্র সংখ্যাও করা যায়। পাহাড় বলতে উত্তরবঙ্গ যেমন আছে, পুরুলিয়ার জয়চণ্ডীও আছে। ভিনরাজ্য সিকিম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড যেমন আছে, তেমনি পড়শি দেশ ভুটানও আছে। সবমিলিয়েই পাহাড়কে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা। পড়ুন, মনে মনে পাহাড়ের বাঁকে হারিয়ে যান।
(বেঙ্গল টাইমস ই–ম্যাগাজিনের লিঙ্ক। এই প্রচ্ছদে ক্লিক করলেই খুলে যাবে পাহাড় সংখ্যা। ডাউনলোড করে অনায়াসেই পড়ে ফেলতে পারেন। )
এই ছবিতে ক্লিক করলেই খুলে যাবে
বেঙ্গল টাইমসের পাহাড় সংখ্যা।