বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: কলকাতার পরবর্তী মেয়র কে? ভোটের পর কে হবেন, বলা মুশকিল। কিন্তু ভোটের আগেই যদি আবার শোভন চ্যাটার্জি মেয়র হয়ে যান, অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমনকী, রাজভবনে আবার যদি মন্ত্রী হিসেবে শোভন চ্যাটার্জিকে শপথ নিতে দেখা যায়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
জল হয়ত সেদিকেই গড়াচ্ছে। শোভন চ্যাটার্জি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই টানাপোড়েন তৈরি হয়। দূরত্ব আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। একদিকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, অন্যদিকে তৃণমূল সম্পর্কে মনোভাব আরও নরম হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এমন ছবিটাই ধরা পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। একটার পর একটা ধাপ মেনে জল গড়াচ্ছে। ১) পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে বৈশাখীর বিজয়া প্রণাম করতে যাওয়া। ২) মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে শোভনের ভাইফোঁটা নিতে যাওয়া। ৩) আচমকাই শোভনকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বলয়ে আনা।
ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। পরের ধাপগুলো কী হতে চলেছে, অনুমান করাই যায়। বিধায়কদের সভায় শোভন হয়ত হাজির থাকবেন। সেইদিন আবার তৃণমূলে যোগ দিতেই পারেন। নিছক বিধায়ক হিসেবেই যোগ দেবেন, এমনটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সম্মানজনক একটা পুনর্বাসন প্যাকেট নিশ্চয় থাকবে। ১) আবার মেয়রের পদ ফিরিয়ে দেওয়া। ২) পুরভোটে তাঁকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া। ৩) মন্ত্রীসভায় উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়া। ৪) বৈশাখির জন্যও হয়ত অপেক্ষা করছে সম্মানজনক কোনও পদ। এই চারটের একটা বা দুটো ঘটতেই পারে।
অনেকে হয়ত অবাক হবেন। কিন্তু তৃণমূলের ইতিহাস সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা হয়ত খুব একটা অবাক হবেন না। কারণ, নেত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও অনেকেই স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন। সৌগত রায়, সুব্রত মুখার্জি, সাধন পান্ডে, অজিত পাঞ্জা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পঙ্কজ ব্যানার্জি–তালিকাটা বেশ লম্বা। অনেকের সঙ্গেই চূড়ান্ত তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আবার মূলস্রোতে ফিরেও এসেছেন। শোভনের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতেই পারে। কে বলতে পারে, আগামীদিনে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়িওয়ালা অন্য কেউ আবার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হবেন না!
কোন পুনর্বাসন প্যাকেজ রয়েছে শোভনের জন্য?
