পুজোর মুখে পাহাড় বন্‌ধ! ফের হঠকারিতা

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বিমল গুরুংদের সঙ্গে বিনয় তামাংদের বিশেষ তফাত রইল না। পুজোর মুখে তাঁরাও পাহাড়ে বন্‌ধ ডেকে বসলেন। শুধু মোর্চা ডেকেছে বললে কিছুটা ভুল হবে। ডেকেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। সেই তালিকায় অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে বিনয়পন্থী মোর্চারও।

পাহাড়ের চা বাগানগুলিতে বোনাস নিয়ে সমস্যা চলছে। তরাই ও ডুয়ার্সের বাগানে কিছুটা সুরাহা হলেও পাহাড়ের বাগানগুলিতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী বোনাস দিতে নারাজ মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি, গত দু বছর পাহাড়ের বাগানে কাজ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে। তাহলে বোনাস দিতে সমস্যা কোথায় ? শ্রমিকদের দাবি অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। মালিকপক্ষ কতটা দিতে পারবেন, শ্রমিকরা কতদূর পর্যন্ত নামতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আন্দোলনও হতে পারে। তাই বলে আবার সেই বন্‌ধ!

darjeeling2

পুজো থেকেই পর্যটন মরশুম শুরু হয়। ঝাঁজে ঝাঁকে পর্যটক এই সময়ে পাহাড়ে যান। দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি অসংখ্য ছোটখাটো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অনেকে মহালয়া থেকেই পৌঁছে গেছেন। কেউ যাবেন ষষ্ঠী, সপ্তমীতে। এই অবস্থায় পাহাড় বন্‌ধ পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনতে পারে। লাগাতার বন্‌ধের জন্য এমনিতেই পাহাড়ের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পর্যটকেরা বারেবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরেও আবার কেন বন্‌ধের ডাক ? সেই ডাকে শামিল কিনা মোর্চাও!  চা শিল্পের সমস্যাকে পর্যটন শিল্পে টেনে আনা খুব জরুরি!

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.