বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:মুখ্যমত্রী যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে। রাজ্যের উন্নয়নের দাবি তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বিবেচনার আশ্বাস দেবেন। আবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। জমি জট বা অন্যান্য বিষয়ে রাজ্যের সাহায্য চাইবেন। রাজ্য সহযোগিতার আশ্বাস দেবে। এটাই গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর প্রথা। এটাই হয়ে এসেছে। এটাই হওয়া উচিত।
কিন্তু কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্ক এমন তলানিতে এসে ঠেকেছে যে, সাধারণ একটা বৈঠককে ঘিরেও সন্দেহের আবহ তৈরি হয়। রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়। শুধু নিন্দুকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। রাজ্য সরকারই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক লড়াই থাকতেই পারে। ভোটের সময় কিছু বিতর্ক, চাপানোতর আসতেই পারে। তাই বলে, সবসময় যুদ্ধং দেহি মেজাজ নেওয়া কোনও প্রশাসকের কাজ হতে পারে না। ফেডারেল স্ট্রাকচার মানার দায়টা যেমন কেন্দ্রের, তেমনই রাজ্যের। কিন্তু কোনওপক্ষই সেই দায়িত্ব মেনে চলতে চায় না।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের নানা দাবি জানাতেই পারেন। কিন্তু হঠাৎ এই বৈঠক নিছক প্রশাসনিক তাগিদে নয়। গত কয়েকদিন ধরে রাজীব কুমারকে নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, সেই টানাপোড়েনটাই এই বৈঠকের দিকে ঠেলে দিল না তো? রাজ্যের দাবি নিয়ে আগেও দরবার হয়েছে। জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরাও প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অফিসারদের উপস্থিতিতেই সেই বৈঠক হয়েছে। গোপন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দরকার পড়েনি। কিন্তু মিলিয়ে নেবেন, বুধবারের বৈঠকের কিছুটা অফিসারদের সামনে হলেও বাকিটা হবে রুদ্ধদ্বার আবহে। তাহলে তো সংশয়ের বাতাবরণ তৈরি হবেই।
সংশয় আরও বাড়বে যখন দেখা যাবে, শীত আসার আগেই ফের সিবিআই নামক যন্ত্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য শীতঘুমে চলে গেছে। গত পাঁচ বছরে বারবার এই যন্ত্রটিকে শীতঘুমে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রের একটি তদন্তকারি সংস্থা সম্পর্কে এমন অনাস্থা হয়ত কাঙ্খিত নয়। কিন্তু কী আর করা যাবে! সিবিআই এই অনাস্থা অর্জন করেছে। পুনরায় আস্থা অর্জন করতে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
****