দিঘার হোটেল ভাড়ায় কে লাগাম টানবে!‌

সুমিত চক্রবর্তী

একই হোটেল। একই রুম। পরপর দুদিনের ভাড়ায় অনেক ফারাক। দিঘায় হামেশাই এমনটা দেখা যায়। যে রুমটা বুধবার হয়ত পাঁচশো টাকায় পাওয়া গেল, সেটাই কিনা শনিবার দু হাজার হয়ে গেল!‌ আর টানা তিন–‌চার দিন ছুটি থাকলে তো কথাই নেই। সাধারণ রুমও আড়াই হাজার, তিন হাজার হয়ে যাচ্ছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, দিঘায় হামেশাই এই ঘটনা ঘটছে।

digha3

কোনও হোটেলের ভাড়া বেশি হতেই পারে। কিন্তু একেক দিন একেকরকম। এ আবার কী নিয়ম?‌ অধিকাংশ হোটেলের নির্দিষ্ট রেট চার্ট নেই। তাই কোনদিন কত ভাড়া, তার কোনও হিসেব নেই। শুনেছি, কোথাও কোথাও নাকি দু–‌তিন রকম রেট চার্ট ছাপানো আছে। পরিস্থিতি বুঝে দেখানো হয়। ফাঁকা থাকলে একরকম দেখানো হয়। আবার ভিড় থাকলে অন্যরকম বের করা হয়। থানাও জানে। প্রশাসনও জানে। কিন্ত নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা নেই।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টা তুলেছিলেন। তিনি হোটেলের বেশি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন। কিন্তু সুরাহা কিছু হবে বলে মনে হয় না। কারণ, সমাধান করাটা তাঁর লক্ষ্য নয়। লোক দেখিয়ে বলাটাই আসল লক্ষ্য। টিভিতে দেখাল, কাগজে বেরোবে। লোকে ভাববে তিনি কতই না উদ্যোগী। পর্যটকদের কথা তিনি কতই না ভাবছেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার হলে, আগেই নিতে পারতেন। এমন লোক দেখানো ক্ষোভপ্রকাশের দরকার পড়ত না।

sejuticreations

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.