ইস্টবেঙ্গল-কোয়েস্ট বিচ্ছেদ অনিবার্য

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: কোয়েস্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের গাঁটছড়া ক্রমশ ছাড়তে চলেছে। অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চলছে। যত দিন যাচ্ছে, এই বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়ছে। শুরু থেকেই ক্লাবের নানা বিষয়ে কোয়েস্ট যেভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছিল, তাতে ক্লাবকর্তাদের বড় একটি অংশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। দল গঠনের ব্যাপারে কোয়েস্টের প্রতিনিধিরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মতামতও নেওয়া হয়নি। ক্লাবকর্তাদের দাবি, কোন খেলোয়াড়কে নেওয়া উচিত, কাকে কত দর দেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে কোয়েস্ট প্রতিনিধিদের ধারনাই নেই। তার ফলে, দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ফুটবলার হাতছাড়া হয়েছে। তাঁরা কেউ চলে গেছেন আইএসএলে। কেউ আবার অন্য ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়ে চলে গেছেন। তাঁদের ধরে রাখার উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আবার এমন কিছু ফুটবলারকে সই করানো হয়েছে, যাঁরা কতটা সফল হবেন, শুরু থেকেই তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

east bengal12

আইএসএলে খেলার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু এই ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে যে ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল, তা চালানো হয়নি। যে পরিমাণ অর্থের দরকার, সেই ব্যাপারেও ঠিকঠাক আশ্বাস ছিল না। ফলে, আইএসএল খেলার ছাড়পত্র জোটেনি। এবার বাংলাতেই হচ্ছে ডুরান্ড কাপ। সূত্রের দাবি, কোয়েস্ট কর্তারা চাননি ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দল খেলাক। তাঁরা চেয়েছিলেন, জুনিয়র দল নিয়ে মাঠে নামুক ইস্টবেঙ্গল। যা মানতে পারেননি ক্লাবকর্তারা। তাঁদের দাবি, ডুরান্ডের ঐতিহ্যের কথা জানেনই না কোয়েস্ট কর্তারা।এই প্রথম বাংলায় ডুরান্ড কাপ হচ্ছে। এই টুর্নামেন্টের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে।

এমনকী ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠান নিয়েও বিশেষ হেলদোল ছিল না কোয়েস্টের। একটা ক্লাব শতবর্ষে পা রাখছে, এটা কতটা গৌরবের, সে ব্যাপারে কোয়েস্ট কর্তারা অনেকটাই উদাসীন ছিলেন বলে অভিযোগ। এইসব নানা কারণে কোয়েস্টের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে। কোনও পক্ষই আর এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নয়। যার পরিণতি হিসেবে বিচ্ছেদ অনিবার্য। এমনটাই মনে করছে ময়দান।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.