টয় ট্রেনের সময় বদল হোক

সুমিত চক্রবর্তী

টয় ট্রেন নিয়ে বাঙালির একটা আলাদা আবেদ সবসময়ই ছিল। যতই আধুনিক প্রযুক্তি আসুক, তবু টয় ট্রেন মানেই এক নস্টালজিয়া। কিন্তু টয় ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের আবেগ ও বাস্তববোধ থেকে অনেকটাই দূরে। যা্ত্রীদের সুবিধে অসুবিধে নিয়ে তাঁরা বিশেষ চিন্তিত বলে মনে হয় না।

১) টয় ট্রেনের ভাড়া। সত্যিই আকাশছোঁয়া। বিদেশি পর্যটকদের কাছে হয়ত এটা কোনও টাকা নয়। কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঙালি পর্যটকদের কাছে অঙ্কটা অনেকটাই। একেকজনের দেড় হাজার টিকিট। এটা একটু বাড়াবাড়ি হযে যাচ্ছে। ধরা যাক, পাঁচ জনের পরিবার যাচ্ছে। তার মানে, ওঠার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার!

২) সময় নিয়েও বিভ্রাট। এন জে পি থেকে সাড়ে সকাল সাড়ে আটটায়।আমার মনে হয়, সময়টা পেছনো দরকার। কারণ, কলকাতা থেকে অধিকাংশ পর্যটক যান মূলত দার্জিলিং মেল বা পদাতিকে। এই দুটি ট্রেন মাঝে মাঝেই দেরি করে। ফলে, টিকিট কাটা থাকলেও টয় ট্রেনে পাহাড়ে ওঠার সুযোগ থাকে না। আবার কখনও ট্রেন হয়ত আটটায় ঢুকল। হুড়োহুড়ি করে টয় ট্রেন ধরার জন্য ছুটতে হয়। সারা রাত ট্রেনে কাটানোর পরেও স্টেশনে নেমে সামান্য ফ্রেস হওয়ার সুযোগ থাকে না।

toy train3

৩) এই অবস্থায় যদি কেউ টয় ট্রেনে পাহাড়ে উঠতে চান, তাহলে তাঁকে একদিন শিলিগুড়িতে থেকে পরের দিন টয় ট্রেন ধরতে হবে। এটাও একটু বাড়াবাড়ি আবদার।কারণ, শুধু টয় ট্রেনে ওঠার জন্য একটা দিন শিলিগুড়িতে নষ্ট করার কোনও যুক্তি নেই।

৪) আবার আগে থেকে টিকিট না কাটলেও মুশকিল। কারণ, ট্রেন থেকে নেমে আপনি টিকিট পাবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

৫) আমার মনে হয়, দার্জিলিং মেল বা পদাতিক পৌঁছনোর অন্তত ঘণ্টা দুই পর টয় ট্রেন ছাড়া উচিত। এতে পর্যটকরা হাতে অনেকটা সময় পাবেন। ফ্রেস হয়ে, ব্রেকফাস্ট করে তারপর ট্রেন ধরতে পারবেন।

৬) এক—দু ঘণ্টার জন্য অল্প ভাড়ায় রেলের রিটায়ারিং রুমের ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সেটাও রেল কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।

 

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.