সুমিত চক্রবর্তী
দিন কয়েক আগে গিয়েছিলাম মন্দারমণিতে। শেষবার গিয়েছিলাম বছর পাঁচেক আগে। এবার অনেকটাই যেন বদলে গেছে মন্দারমণি। তবে সবথেকে যেটা ভাল লাগল, তা হল, মন্দারমণি যাওয়ার সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। সেই খবরটা মনে হল বেঙ্গল টাইমসের সঙ্গে ভাগ করে নিই।
আগে মন্দারমণি যেতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যেত। দিঘাগামী বাসে গিয়ে চাউলখোলায় নামতে হত। সেখান থেকে ট্রেকারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হত। নইলে ভুটভুটি ভ্যান ধরতে হত। এখন চাউলখোলার মোড়ে অনেক টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে, অপেক্ষার দরকার পড়ে না। রিজার্ভও করা যায়। খরচ কমাতে চাইলে শেয়ারেও যাওয়া যায়।
এখন মন্দারমণি অনেকটাই সাজানো। বিচের ওপর দিয়ে গাড়ি আর চলছে না। এই ব্যাপারটায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। তবে যত্রতত্র মদ্যপান বেড়ে গেছে। সব ঝুপড়ি দোকানেই সকাল থেকে মদ্যপানের আসর। আর পেটে পড়লে যা হয়! ভাঁট বকে যাওয়া। অহেতুক অশান্তি ডেকে আনা। এই দিকটায় পুলিশের একটু নজর দেওয়া উচিত। মদ্যপান চলবে না, এমন ফতোয়া জারি করতে বলছি না। তবে, অন্তত একটা আড়াল আবডাল থাকুক। সর্বত্র যেন পানশালা না হয়ে ওঠে।
বাজারের দিকটায় বসার জায়গা করা হয়েছে। সেখানে বসে অনেক রাত পর্যন্ত সমুদ্র দেখার সুযোগ। এমনকী যেসব হোটেল রাস্তার ওপারে, তাঁদের সামনে এতদিন রাতের দিকে সমুদ্রে বসে থাকার সুযোগ ছিল না। এবার তাঁরাও বসতে পারেন। বাজারটাও আগের থেকে অনেকটাই জমজমাট। মোটামুটি সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে।
ফেরার টিকিট বুক করা এখন অনেক সহজ। বেশ কয়েকটি কাউন্টার আছে। নানা সময়ে বাস আছে। দিঘা থেকে আসছে। চাউলখোলা থেকে উঠতে হবে। তবে, আগাম বুকিং করে রাখতে পারেন। পর্যাপ্ত এসি বাসও আছে। বেশিরভাগই বেসরকারি। ভাড়াও মোটামুটি তিনশোর মধ্যেই। সরাসরি কলকাতা ফেরার বাসও আছে। সকালে গড়িয়া থেকে ছাড়ছে। এসি বাস। ধর্মতলা থেকেও ধরতে পারেন। সকাল সাতটা নাগাদ। আবার দুপুর একটা নাগাদ মন্দারমণি থেকে ছাড়ছে। বিকেল নাগাদ ধর্মতলায় ঢুকেও যাচ্ছে। কোথায় দাঁড়াতে হবে, যে কোনও লোককে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। এর জন্য কাউন্টারে যেতে হবে না। রেড বাস থেকে সরাসরি অনলাইনেও বুকিং করতে পারেন।