বিজেপির সঙ্গে কেন বসতে হল দুই প্রধানকে?‌

সোহম সেন

হঠাৎ বিজেপির দ্বারস্থ ময়দানের দুই প্রধান। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করলেন দুই ক্লাবের কর্তারা। মোহানবাগান থেকে ছিলেন সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্ত। আর ইস্টবেঙ্গল থেকে ছিলেন দেবব্রত সরকার, শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত। বৈঠকের কথা গোপন নেই। কাগজে ছবি বেরিয়েছে। দুই ক্লাব শিকারও করে নিয়েছে।

ক্লাবের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, আমলা বা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো যেতেই পারে। কিন্তু এই রাজ্যে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় স্রেফ দলীয় পর্যবেক্ষক। তার বেশি কিছু নন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হল কেন?‌

বৈঠকে মধ্যস্থতা করলেন কল্যাণ চৌবে। দুই প্রধানের হয়েই খেলেছেন। ভারতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। ধরে নেওয়াই যায়, তাঁর উদ্যোগেই এই বৈঠক। তিনি কেন এগিয়ে এলেন?‌

kalyan choube

কারণটা অনুমান করাই যায়। ভোটে হেরে গেছেন। দলের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে। তাই দলকে তিনি বোঝাতে চাইছেন, বাংলার দুই জনপ্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল–‌মোহনবাগানকে তিনি বিজেপি নেতার কাছে এনে দিতে পারেন। এতে দুই ক্লাবের সমর্থকদের কিছুটা কাছে পাওয়া যাবে। আবার দুই ক্লাবকে তিনি বার্তা দিলেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দুই ক্লাবের দাবি পৌঁছে দিতে পারি। অর্থাৎ, দলের কাছেও গুরুত্ব বাড়ল। আবার ক্লাবের কাছেও গুরুত্ব বাড়ল।

কিন্তু দুই ক্লাব এই বৈঠকে কেন এল?‌ সত্যিই কি তাঁরা মনে করছেন, বিজেপি নেতা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন?‌ এই ছবি দেখলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেগে যেতেই পারেন। সেটাই স্বাভাবিক। তখন ঢোঁক গিলতে হবে না তো?‌ প্রবল সম্ভবনা। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত ধমক দেবেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। তিনি নামবেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তিনি ধমক দেবেন দুই ক্লাবের কর্তাদের। তখন সুটসুট করে রাজ্যের প্রশস্তি গাইতে হবে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশস্তি গাইতে হবে। তখন বিজেপি না তৃণমূল, শ্যাম রাখি না কূল রাখি, মহা সমস্যায় পড়বেন দুই প্রধানের কর্তারা।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.