সুমিত চক্রবর্তী
নির্বাচনের পর থেকেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। পরাজয়ের দায় নিয়ে সরে যাওয়া নতুন কিছু নয়। আবার পরাজয় সত্ত্বেও গদি আঁকড়ে পড়ে থাকার নজিরও কম নেই। রাহুল যে দায় নিতে চাইছেন, সেটা সুস্থ লক্ষণ। এবং নিছক দর বাড়ানো নয়। তাঁর সরে যাওয়ার ইচ্ছেটাও আন্তরিক। দলের নানা স্তরের নেতারা থেকে যাওয়ার আর্জি জানাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাহুল অনঢ়।
কিন্তু সভাপতি বেছে নিতে এত সময় লাগছে কেন? কংগ্রেসে কি যোগ্য লোকের এতই অভাব? কখনও ভেসে উঠছে সুশীল কুমার শিন্ডের নাম। কেউ ভাসিয়ে দিচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম। কখনও শোনা যাচ্ছে অশোক গেহলটের নাম। এমনকী জীবনের পশ্চিম সীমান্তে আসা মোতিলাল ভোরার নামও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা মহল থেকে।
কংগ্রেস যদি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াতে চায়, তাহলে এই নামগুলো নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে? যদি সত্যিই এই চারজনের একজনকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে, কংগ্রেস সত্যিই আবার পিছনের দিকে হাঁটতে চাইছে। এমন কাউকে চাওয়া হচ্ছে, যিনি ভরতের মতো খড়ম সিংহাসনে রেখে রাজ্য চালাবেন। কখন আবার রাহুল ফিরে আসবেন, ততদিন তাঁরা পাহারা দেবেন।
এই মনোভাব ঝেড়ে ফেলা দরকার। রাহুল যদি সত্যিই ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক থাকেন, যদি চান কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াক, তাহলে তরুণ নেতৃত্বের দিকে তাকানো হোক। অশোক গেহলট বা মোতিলাল ভোরাদের নাম আলোচনাতেই বা আসবে কেন? কেন শচীন পাইলট বা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম নিয়ে আলোচনা হবে না? কংগ্রেসকে যদি সত্যিই সামনের দিকে তাকাতে হয়, তাহলে নবীন নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রাখতে হবে। এবং সেটা অনন্তকাল ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
(ওপেন ফোরাম। বেঙ্গল টাইমসের জনপ্রিয় বিভাগ। নানা বিষয় নিয়ে এখানে খোলামেলা আলোচনা হয়। নানা মত উঠে আসতে পারে। মতামতের দায় একান্তই লেখকের। এই ব্যাপারে আপনিও আপনার মতামত তুলে ধরতে পারেন। ৩০০ শব্দের মধ্যে আপনার মতামত পাঠিয়ে দিন বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়। ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com )