শেরিফ শংকর, সবাই এত নির্লিপ্ত !‌

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ কলকাতার শেরিফ হলেন সাহিত্যিক শংকর। অথচ টিভি চ্যানেল দেখলে বা কাগজ পড়লে আপনি জানতেও পারবেন না। অধিকাংশ কাগজে খবরটাই নেই। দু একটা কাগজে যদিও বা আছে, নিতান্তই লুকিয়ে। এতখানি উপেক্ষা কি শংকরের প্রাপ্য।
গত আট বছরে কারা কারা শেরিফ হয়েছেন, অধিকাংশ লোকই জানেন না। শেরিফ পদটার এমনিতেই তেমন গুরুত্ব নেই। তার ওপর আনকোরা লোকেদের শেরিফ করলে সেই গুরুত্ব আরও কমে যায়। বাম জমানায় কারা শেরিফ হয়েছেন, কয়েকটা নাম একটু চোখ বোলানো যাক— সনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, বসন্ত চৌধুরি, চুনী গোস্বামী, পঙ্কজ রায়, শান্ত মিত্র। সেইসঙ্গে বেশ কিছু স্বনামধন্য চিকিৎসকও শেরিফ হয়েছেন। সেখানে তৃণমূল জমানায় রঞ্জিত মল্লিক। তারপর আর কাউকেই শেরিফ করা হয়নি। শেষদিকে ডাক্তার সঞ্জয় চ্যাটার্জি।

shankar2
শেরিফ একটি সম্মানজনক পদ। শহরের বিশিষ্ট নাগরিককে সম্মান জানানো হয়। কোনও সন্দেহ নেই, সাহিত্যিক শংকর এই পদের উপযুক্ত ব্যক্তি। এই চেয়ারে বসতে গিয়ে তাঁকে শাসকদলের মিছিলে হাঁটতে হয়নি। লেজুড়বৃত্তিও করতে হয়নি। চরণ ছুঁয়ে যাই, কত অজানারে, চৌরঙ্গি, সীমাবদ্ধ, জনঅরণ্য–‌সহ কত কালজয়ী উপন্যাসের লেখক। তাঁর চৌরঙ্গি অনুবাদ হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। তাঁর কাহিনী নিয়ে ছবি হয়েছে, এমন সংখ্যাটাও কম নয়। এমনকী সাম্প্রতিক কালে বিবেকানন্দকে নিয়ে লেখা তাঁর বইগুলিও পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত। কলকাতার নাগরিকজীবন দারুণভাবে উঠে এসেছে এই বর্ষীয়াণ সাহিত্যিকের কলমে। যা স্বীকৃতি পাওয়া উচিত, তার অনেকটাই হয়ত পাননি। শেষবেলায় এসে যখন শেরিফের জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হল, তখনও বঙ্গজ মিডিয়া কী নির্লিপ্ত!‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.