বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: এবার তৃণমূল ছাড়ছেন আরেক বিধায়ক। তিনি হলেন শম্পা দরিপা। যদিও বিধানসভায় তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত। কিন্তু জয়ী হওয়ার পর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিছক সময়ের অপেক্ষা।
বরাবরই মুকুল-ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত শম্পা। তৃণমূলের প্রতীকে বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। বেশ সাফল্যের সঙ্গেই দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু ২০১৫ নাগাদ মুকুলের সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ে, তখন শম্পাকেও কিছুটা গুরুত্বহীন করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১৫ তে আর তাঁকে বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়নি। ২০১৬ তে বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়নি। অভিমানে তখন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শম্পা। বামেদের সমর্থনে ২০১৬ তে জিতেওছিলেন। কিন্তু তারপরই ফের তৃণমূলের মূলস্রোতে ফিরে আসেন।
তাহলে হঠাৎ বিজেপিতে নাম লেখাতে চাইছেন কেন? ১) শম্পার মেন্টর মুকুল বিজেপিতে। স্বভাবতই বিজেপিতে গেলে টিকিট পেতে সমস্যা হবে না। ২) শম্পার দাবি, লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বাঁকুড়া থেকে প্রার্থী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী করা হয়নি। এতে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ। ৩) ফের বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান করার প্রতিশ্রুতিও নাকি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি।
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানিয়ে শম্পা দর বাড়াতে চাইছেন। পুরসভায় তাঁকে সামনে রেখে লড়াই করার আশ্বাস দেওয়া হলে হয়ত থেকে যেতেও পারেন। যদিও অন্য একটি অংশের দাবি, এবার বাঁকুড়া পুরসভাতেও বিজেপির জয় নিশ্চিত। আর বিজেপিতে গেলে, তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে তুলে ধরে লড়াই করা হতে পারে। ফের চেয়ারম্যান হতেই পারেন।এমনকী বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও উপনির্বাচনে জিতে আসতে সমস্যা হবে না।
সবমিলিয়ে শম্পার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে। যে কোনওদিনই দিল্লিতে হয়ত তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হবে।