বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে কজন চিনতেন রামনাথ কোবিন্দকে? হওয়ার পরেই বা কজন তাঁর নাম বলতে পারবেন? কী এমন ছাপ ফেলেছেন? আসলে, সরকার এমন রাষ্ট্রপতিই চায়, যাঁকে রাবার স্ট্যাম্প করে রাখা যাবে।
এবার স্পিকার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা গেল। যিনি স্পিকার হলেন, সেই ওম বাজাজকে কজন চিনতেন? এর আগে মাত্র একবার সাংসদ ছিলেন। কতটুকু ছাপ ফেলতে পেরেছিলেন? স্পিকার হিসেবে তিনি কেমন হবেন, এখনই বলার মতো সময় হয়ত আসেনি। কিন্তু এটুকু বলা যায়, বিজেপির মধ্যেই অন্তত কুড়িজন যোগ্য স্পিকার ছিলেন। তাঁদের টপকে হঠাৎ ওম বাজাজ! শোনা যায়, তিনি নাকি অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ। এটাই তাহলে স্পিকার হওয়ার মানদন্ড!
সরকার বা লোকসভা চালাতে গেলে যে শিক্ষাদীক্ষা লাগে, সেটা যেন শুরুতেই অস্বীকার করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী না দেখে ইংরাজি বলতে পারেন না। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেউ কখনও ইংরাজি বলতে শোনেননি। কোন ফাইলে কী আছে, পড়ে বুঝতেও পারবেন না। প্রথম বলতে হবে, ‘পড়কে শুনাও।’ তারপর বলতে হবে, ‘থোড়া হিন্দি মে সামঝা দো।’ এই লোকটি শাসক দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। এই লোকটি এবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার তাঁর আশীর্বাদে যিনি স্পিকার হলেন, তিনি কী কী চমক দেখান, তার অপেক্ষায় রইলাম।
সহজ কথা, বিধানসভা বা লোকসভায় যিনি অধ্যক্ষ হবেন, তাঁর শিক্ষা,দীক্ষা, ব্যক্তিত্ব থাকাটা খুবই জরুরি। এই সব মূল্যবান আসনে যাঁকে খুশি, বসিয়ে দেওয়া যায় না। চেয়ারের মর্যাদা বাড়ে সোমনাথ চ্যাটার্জি, বলরাম জাখর, পিএ সাংমারা বসলে। আর বালাযোগী, মীরা কুমাররা বসলে সংসদের মান অনেকটাই নেমে যায়। সুমিত্র মহাজন তবু মন্দের ভাল ছিলেন। অন্তত নিজের চেয়ারের মর্যাদা কিছুটা হলেও রাখতে পেরেছেন। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, নতুন স্পিকার কার্যত রাবার স্ট্যাম্প হয়েই থেকে যাবেন। আলাদা করে সম্ভ্রম বা সমীহ আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।