বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: অনেকটাই কাছাকাছি চলে আসতে চলেছে শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। না, ভৌগলিক দূরত্ব কমে যায়নি। যা ছিল, তাই থাকছে। অনেক সময় নদীর ওপর সেতু তৈরি হলে দূরত্ব কমে আসে। এক্ষেত্রে তেমনটাও হচ্ছে না। আসলে, এই রুটে ট্রেনের গতি বাড়াচ্ছে রেল। ফলে, এতদিন যে পথ পাড়ি দিতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লেগে যেত, সেই সময় অনেকটাই কমে আসছে। রেল সূত্রের দাবি, এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় কম লাগবে।
শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পথে বিরাট অংশ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মহানন্দা, জলদাপাড়া, বক্সা জাতীয় অরণ্যের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলে ট্রেনগুলি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি হাতির করিডোর আছে। রেল লাইন পারাপারের সময় বেশ কয়েকটি হাতির মৃত্যুও হয়েছে। সেই কারণে, আদলতের নির্দেশে এইসব এলাকায় ট্রেনের গতি অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হত। যে পথ পেরোতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগার কথা, সেই পথ পেরোতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লেগে যেত।
রেল দপ্তরের যুক্তি, ইদানীং রেলে কাটা পড়ে কোনও হাতির মৃত্যু হয়নি। তাছাড়া, দিনের বেলায় হাতিরা খুব একটা রেল পারাপার করে না। করলেও অনেক সাবধান থাকে। রাতের দিকে অনেক সময় তারা বুঝতে পারে না। ফলে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই রাতের দিকে গতি কম থাকলেও দিনের বেলা গতি বাড়ালেও খুব একটা ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তাছাড়া, প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। হাতির গতিবিধি সম্পর্কে আগাম খবর পাওয়াও এখন অনেক সহজ।
পক্ষে–বিপক্ষে দুরকম যুক্তিই আছে। একটি অংশের দাবি, দিনের বেলায় অহেতুক আস্তে ট্রেন চালানোর কোনও যুক্তি নেই। বছরে হয়ত একদিন হাতি আসবে, তার জন্য সারা বছর সমস্ত ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। পরে, দুর্ঘটনা বাড়লে, তখন ফের আস্তে চালানো যেতে পারে। অন্য একটি অংশ মনে কছে, এতে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। তাছাড়া, রেলের এই জাতীয় ঘোষণার আগে বন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।