‌পাহাড়ের হাসিই তৃণমূলের হাসি কেড়ে নিল

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ গত সাত–‌আট বছর ধরে লাগাতার প্রচার চলেছে, পাহাড় হাসছে। পাহাড়ে নাকি উন্নয়নের বন্যা বইছে। পাহাড় নাকি দু’‌হাত তুলে আশীর্বাদ করছে তৃণমূলকে। বারবার এই প্রচার ধাক্কা খেয়েছে। তবু ঢাক বাজানোয় কোনও কার্পণ্য ছিল না।
গত লোকসভা নির্বাচনেও পাহাড়ে কুপোকাত হয়েছিল তৃণমূল। তারপর পাহাড়ের তিনটি পুরসভায় নাস্তানাবুদ হয়েছিল তৃণমূল। গত দু বছর ধরে চলছিল বিনয় তামাংদের তোল্লাই দেওয়া। গুরুং ফেরার। পাহাড় নাকি বিনয়দের পাশে। কিন্তু সেই প্রচারও এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। লোকসভায় সবথেকে বেশি ব্যবধানে তৃণমূল হারল এই পাহাড়েই। ব্যবধান চার লাখেরও বেশি। সাতটি বিধানসভাতেই শোচনীয় পরাজয়।

binay tamang2

উপনির্বাচনে দার্জিলিং বিধানসভাতেও ধরাশায়ী বিনয় তামাং। তিনি জিতলেই ক্যাবিনেটে আনা হবে, এই মর্মে জোর প্রচার চালানো হল। দেখা গেল, তিনিও একেবারেই ধরাশায়ী হলেন। হওয়ারই কথা। প্রচারের বেলুন দিয়ে বেশিদিন বেড়ালকে বাঘ বানানো যায় না।
একের পর এক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেসব বোর্ডের কী কাজ, কেউ জানে না। পাহাড়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিভাজনই যে সরকারের কাম্য, সেটা বারেবারেই প্রমাণ হয়েছে। বারবার পুলিশ দিয়ে পাহাড় জব্দ করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই ধাক্কাটা খুবই জরুরি ছিল। পাহাড় হাসছে, বলার আগে এবার অন্তত দুবার ভাবুন। পাহাড় যে তৃণমূলকে কতখানি ঘৃণা করে, সেই বার্তা বুঝতে শিখুন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.