নির্মল দত্ত
প্রথম দফার ভোটে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। এখনও জানা গেল না, রাজ্যে কত শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। গত এক বছর ধরে বিজেপি নেতারা হুঙ্কার ছাড়ছিলেন, এবার ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, রাজ্য পুলিশ কিচ্ছু করতে পারবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে নাম কে ওয়াস্তে। হয়ত শতকরা দশ শতাংশ বুথে। বা আরও কম বুথে।
যে রাজ্যে ৩৪ শতাংশ আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারে না। যে রাজ্যের একটি ব্লকেও ঠিকঠাক ভোট হয়নি, যে রাজ্যে কুড়ি শতাংশ মানুষও নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি, সেই রাজ্য সরকারকে কোনওভাবে বিশ্বাস করা যায়? বিজেপি কেন কেন্দ্রীয় স্তরে প্রভাব খাটিয়ে বাহিনী আনাতে পারছে না? সহজ কথা, এখানকার বিজেপি নেতৃত্ব যতই গলা ফাটান, দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব চান না মমতার সরকারকে চটাতে।
তাই সিবিআই বছরের পর বছর ঘুমিয়ে থাকে। তাই, শুল্ক দপ্তর কোনও এক পিসির কোনও এক ভাইপোকে হাতে নাতে পেয়েও ছেড়ে দেয়। তাই, নির্বাচন কমিশন এমন গুন্ডামি জেনেও চোখ বুজে থাকে। এর পরেও আশা করেন বিজেপি লড়াই করবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে? কেন বাহিনী থাকবে না, এই প্রশ্নটা বিজেপি নেতৃত্বকে করুন। যে মানুষটা ২০১৩–র পঞ্চায়েত, ২০১৪–র লোকসভায় বুথ দখল আর লুঠকে চূড়ান্ত জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেই মুকুল রায়ের মুখে কোনও প্রতিবাদ মানায়? তিনি আজ বাহিনী আনার সওয়াল করছেন। দাবি জানাতে হলে দিল্লিতে যান। সাহস থাকলে সেখানে গিয়ে বলুন।
সারদা–নারদা তদন্তে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এই দায় বিজেপিকেই নিতে হবে। ঠিক তেমনি, রাজ্যের সব বুথে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা না করা যায়, সেটাও বিজেপি–রই চূড়ান্ত ব্যর্থতা। কেন পর্যাপ্ত বাহিনী নেই, এর জবাব বিজেপিকেই দিতে হবে।