সুমিত চক্রবর্তী
গত কয়েকদিন ধরেই ওলা–উবেরকে নিয়ে খুব চর্চা। সরকার নাকি তাদের বেস প্রাইস ও সার্জ চার্জ বেঁধে দিয়েছে। ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে। একজন সাধারণ যাত্রী হিসেবে এতে আনন্দ পাওয়ারই কথা।
একটু বৃষ্টি হলে বা অফিস টাইমে ওলা–উবের পাওয়াই যায় না। পেলেও তিন গুন ভাড়া হেঁকে বসে থাকে। প্রথমদিকে নানারকম ছাড় দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছিল এই দুই ক্যাব সংস্থা। আস্তে আস্তে অভ্যেসে বদলে গেল। ট্যাক্সি চালকরা একে একে নাম লেখালেন ওলা–উবেরে। তারপর ট্যাক্সির সেই বদরোগ এসে গেল এইসব ক্যাবেও। দ্বিদুন–তিনগুন ভাড়া হাঁকা যেমন আছে, তেমনি দরকারের সময় পাওয়াও যায় না। সরাসরি প্রত্যাখ্যান না হলেও ঘুরপথে প্রত্যাখ্যান চলছেই। কুড়ি মিনিট–পঁচিশ মিনিট অপেক্ষার পরেও গাড়ির দেখা নেই। একসময় হঠাৎ মেসেজ ঢুকে গেল, রাইড ক্যানসেল। অর্থাৎ, আবার নতুন করে অন্য গাড়ি বুকিং করুন।
কোনও যাত্রী যদি কোনও কারণে বুকিং ক্যানসেল করেন, তাহলে পরের রাইডের সময় তার ভাড়ার সঙ্গে আরও ৬০ টাকা যোগ হয়ে যায়। সেটা নাকি জরিমানা। যাত্রী বাতিল করলে যদি জরিমানা হয়, তাহলে চালক বাতিল করলে সেই জরিমানা তো যাত্রীরও পাওয়া উচিত। এবং এই দায় ওলা বা উবেরের নেওয়া উচিত। আমার ক্ষেত্রেও গত পাঁচ–ছ মাসে অন্তত দশবার এই বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। কুড়ি–পঁচিশ মিনিট অপেক্ষার পরেও চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়েছি। আমার মতো আরও অনেকেই হয়ত এই হয়রানির শিকার হয়েছেন। শুধু ভাড়া নিয়ন্ত্রণ নয়। এই বিষয়টাও সরকারকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।