সুনন্দ সেনচৌধুরি
দিন কয়েক আগেই ঘুরে এলাম মন্দারমণি থেকে। আগেও অনেকবার গিয়েছি। কিন্তু এবার যেন অন্যরকম। প্রায় সবসময় পুলিশের বাঁশি আর হুটারের আওয়াজ। এক পা এদিক ওদিক গেলেই শুনবেন সতর্কবার্তা। কখনও কলার ধরে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। কখনও থানায় ঢোকানোর হুমকি দিচ্ছে।
জলে নামলেই নানা সমস্যা। এমনকী বিচে ঘুরলেও পুলিশের বাঁশি। কয়েকদিন আগে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার জেরে এতখানি কড়াকড়ি কাম্য নয়। গত দশ বছরে মন্দারমণিতে কটা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে? যেটা ঘটেছে, সেটা নিছকই দুর্ঘটনা। তার জন্য হাজার হাজার পর্যটককে এভাবে রক্তচক্ষু দেখানোর কী মানে হয়, বুঝলাম না।
অথচ, যত দুর্ঘটনার যেটা মূল কারণ, সেই মদ্যপান আটকাতে কোনও সক্রিয়তা নেই। সব হোটেলে, সব ঝুপড়ি দোকানে দেদার মদ্যপানের আয়োজন। যেন মদ খেতেই বেড়াতে আসা। জীবনে আর দ্বিতীয় কোনও লক্ষ্য নেই। কে জলে নামছে, সেদিকে নজরদারি কমিয়ে বরং কোথায় কোথায় মদ বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে নজরদারি বাড়ালে ভাল হয়। অবশ্য সেদিকে নজরদারি নেই, সেটাই বা বলি কী করে? দোকানিদের কথোপকথন শুনে বুঝলাম, কোন কোন দোকানে কী পাওয়া যায়, পুলিশ বেশ ভালমতোই জানে। মাসোহারা দিয়ে তবেই নাকি এসব রাখা যায়।
একদিকে প্রতিটি ঝুপড়ি দোকান থেকে মদ রাখার জন্য মাসোহারা তুলব, অন্যদিকে জলে নামলে পর্যটকদের হয়রান করব, এ কেমন প্রশাসন? কিন্তু এটাই চলছে। সেই অভিজ্ঞতা বেঙ্গল টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম। আপনারা ঘুরে আসুন, আপনাদেরও একই অভিজ্ঞতা হবে।