দুর্গাপুর নিয়ে তখন সমস্যা চলছিল। বাগড়া আসছিল দিল্লি থেকে। গোয়েন্দা দপ্তরের লোকজন বুঝিয়েছিল, দুর্গাপুরে শহর হলে আইনি সমস্যা দেখা দেবে। জঙ্গিদের ঘাঁটি হয়ে উঠবে। এতে কিছুটা প্রভাবিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও।
দিল্লিতে চলছিল জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠক। ছিলেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরাও। ওড়িশার মন্ত্রী নিত্যানন্দ কানুনগোকে দেখেই মনে হল তিনি অসুস্থ। হঠাৎ মিটিং থামিয়ে দিলেন বিধানচন্দ্র। বললেন, জওহর, কানুনগো অসুস্থ, মিটিং থামাও। নিজে চিকিৎসা করলেন। দ্রুত হাসপাতালে পাঠালেন। হাসপাতালের ডাক্তাররা বললেন, আর আধ ঘণ্টা দেরি হলে হয়ত অঘটন ঘটে যেত। সেরে উঠলেন কানুনগো। যেন নুতন জীবন পেলেন।
একদিন জানতে চাইলেন, ডাক্তার, আপনার ফি’জ কত ? তখন বিধান রায় বললেন, ফিজ দিতে হবে না। তুমি জওহরকে ধরে দুর্গাপুরের ছাড়পত্র এনে দাও, তাহলেই চলবে। লেগে পড়লেন কানুনগো। একদিন হঠাৎ হাজির মহাকরণে। সঙ্গে দুর্গাপুরের ছাড়পত্রও।