বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: প্রিভিলেজ মোশান আনতে চাইছে শাসক দল। দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনটি কাগজের নামে নাকি অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বাম ও কং নেতৃত্বকে কী বলেছিলেন, তা তো কোনও গোপন বিষয় নয়। বিধানসভায় নিজের বক্তৃতাতেই বলেছিলেন। সব কাগজেই মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করেই লেখা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তিনটি কাগজের নামে প্রিভিলেজ মোশান কেন? একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে, ওই তিনটি কাগজ প্রথম পাতায় খবরটি ছেপেছে, তাই ওই তিন কাগজকে প্রিভিলেশ মোশন এনে ডাকা হোক।
প্রথমত, যা লেখা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করেই লেখা হয়েছে। সেখানে কোনও বিকৃতি ঘটানো হয়নি। কে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন, সেটাও কি মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে দেবেন? কোন কাগজ কোন পাতায় ছাপবে, সেটাও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে দেবেন?
আসলে, পরিষদীয় বিষয় সম্পর্কে ধারনা না থাকলে যা হয়, তাই হচ্ছে। রাজ্যপাল ভাষণ দেওয়ার চার মাস পর তা নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে সভার মানহানি হয় না। বাজেট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর তা নিয়ে আলোচনা হয়। এতেও সভার মর্যাদা হানি হয় না। অধিকিকাংশ দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয় না, বড় বড় দপ্তরগুলো গিলোটিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও লজ্জা হয় না। অধিকাংশ প্রশ্নের কোনও উত্তর দেওয়া হয় না। তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই। বিধানসভার মর্যাদা কীসে ক্ষুন্ন হয়, সে সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই।
স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব যদি আনতে হয়, আগে নিজেদের বিরুদ্ধেই আনুন। যে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ দপ্তর নিয়ে বসে আছেন, অথচ অধিকাংশ দপ্তরের বাজেট গিলোটিনে পাঠান, আদে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনা হোক।