কৌশিক রায়, শিলিগুড়ি
শিলিগুড়ি পুরসভার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত স্লোগান- শিলিগুড়ি মডেল। কেউ কেউ বলেন, অশোক ভট্টাচার্য মডেল।
সল্টলেকেও চেষ্টা হয়েছিল। সেভাবে সফল হয়নি। তবে কি থমকে গেল এই বহুচর্চিত মডেল? শিলিগুড়ি দেখিয়ে দিল, এখনও তারা পথ দেখাতে পারে।
শিলিগুড়ি পুরসভার মতো গ্রামীণ এলাকাতেও ছিল একই স্লোগান- নিজের ভোট নিজে দিন। সঙ্গে উঠেছিল আরও একটা স্লোগান- তৃণমূল হঠাও, বাংলা বাঁচাও। যে স্লোগানে গলা মেলাতে দ্বিধা হয়নি কংগ্রেস বা বিজেপি-র। এমনকি মোর্চারও।
গ্রামীণ এলাকাতেও বামেদের ফল যে ভাল হবে, তা মোটামুটি আন্দাজ করাই গিয়েছিল। ফাঁসিদেওয়া বা মাটিগাড়া থেকে বুথ দখলের খবর আসছিল। তবে তেমন প্রভাব পড়েনি। জয় এসেছে ৬-৩ ব্যবধানে। শিলিগুড়ির বোর্ডগঠন নিয়ে যে নাটকীয় আবহ তৈরি হয়েছিল, এক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা নয়।
গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল বেরোনোর পরই প্রবণতা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অশোক ভট্টাচার্যকে। বলছিলেন, গ্রামসভায় তবু স্থানীয় পরিচিতি কিছুটা কাজ করে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি বা মহকুমা পরিষদের ভোট অনেকটাই রাজনৈতিক। সেখানে ব্যবধান আরও কিছুটা বাড়বে।’ সেটাই হল। নিরঙ্কুশ আধিপত্য এল মহকুমা পরিষদে। সাফল্যের রহস্য কী ? প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা হঠাৎ করে ভোটে লড়তে আসিনি। ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেছি। মানুষ দেখেছে, আমরা রাস্তায় আছি। কেউ আক্রান্ত হলে ছুটে গেছি। চা শ্রমিকদের আন্দোলন, মজদুরদের আন্দোলন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন- সব ইস্যুতেই সোচ্চার হয়েছি। নেতৃত্বকে একেবারে সামনের সারিতে থাকতে হবে। আমরা বোধ হয় সেটা পেরেছি। তাই মানুষ আস্থা রেথেছেন। তৃণমূলের এত প্রচেষ্টা সত্ত্বে ওরা জিততে পারল না। সহজ কথা, তৃণমূলকে হারানো যায়, এটা প্রমাণ হল। একটাই চ্যালেঞ্জ ছিল, ভোটটা যেন ঠিকঠাক হয়। ঠিকমতো ভোট হলে কী হয়, দেখলেন তো ?