পাহাড় গিয়েও পাওনা মিটিয়ে আসতে পারিনি

ক্ষমা চাইছি

একবার ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে গিয়েলাম দার্জিলিঙে। এদিক–সেদিক ঘুরলাম। মেয়ে বায়না ধরল, টাইগার হিলে যাব। গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গেলাম। এদিক–সেদিক যেতে আরও অনেক খরচ হয়ে গেল। যা হিসেবের মধ্যে ছিল না। ফিরে আসার সময় টাকা পয়সায় টান পড়ল। কীভাবে জোগাড় করা যায়? হোটেল মালিক ছিলেন বাঙালি। অত্যন্ত ভদ্রলোক। খুব সঙ্কোচ নিয়ে তাঁকে বললাম। তিনি এককথায় আমার হাতে জোর করে দু হাজার টাকা গুঁজে দিলেন। বললেন, পরের বার যদি আবার আসেন, তখন দিয়ে দেবেন।

darjeeling8
আবার দার্জিলিং গিয়েছিলাম। সেই হোটেলেই উঠেছিলাম। উনি তখন কী একটা কাজে দিল্লি গিয়েছিলেন। আসার সময় তাঁর হোটেলে টাকা রেখে আসা উচিত ছিল। ভাবলাম, হাতে হাতে দেওয়াই ভাল। তারপর আর সেই টাকা দেওয়া হয়নি। সেই কথা মনে পড়লে এখনও মনে মনে কষ্ট পাই। সেই ভদ্রলোকের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।

রাজেন মল্লিক, চাকদা, নদীয়া‌

(‌স্মৃতিটুকু থাক। সেলিব্রিটি নয়, এই বিভাগ হল পাঠকের মুক্তমঞ্চ। ছোট ছোট মন ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতির কথা উঠে আসুক আপনার কলমে। সেই অনুভূতি ভাগ করে নিন অন্যদের সঙ্গে। চিঠি পাঠানোর ঠিকানা:‌ bengaltimes.in@gmail.com‌)

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.