বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য আছে। যেমন রহস্য আছে নেতাজির অন্তর্ধান নিয়েও। এই দুইয়ের মধ্যে কি কোনও পারস্পরিক সম্পর্ক আছে ? তেমনই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই বিতর্ককে উস্কে দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র সুনীল শাস্ত্রী।
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মারা যাওয়ার ঠিক চল্লিশ মিনিট আগে নাকি রাশিয়া থেকে বাড়িতে ফোন করেন। তার আগেই হয়ে গেছে তাসখন্দ চুক্তি। চুক্তির পরই রহস্যজনক মৃত্যু হয় ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর। সেই মৃতদেহের ময়না তদন্তও হয়নি। সেই কারণেই মৃত্যু নিয়ে আরও বেশি করে সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়।
লালবাহাদুরের পুত্র সুনীল শাস্ত্রী দাবি করলেন, মৃত্যুর ঠিক আগে ফোন করেছিলেন লালবাহাদুর। তিনি নাকি বলেন, ‘এমন একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, যা ভারতের কাছে বড় খবর।’ কে সেই ব্যক্তি, তা পরিষ্কার করে বলেননি। তবে অনেকের অনুমান, সেই ব্যক্তি হতে পারেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই নেতাজিকে খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। রাশিয়া যাওয়ার আগে নেতাজির ভাইপো অমিয়নাথ বসুকে সেই কথা জানিয়েও ছিলেন। কোনও কোনও ঐতিহাসিক মনে করছেন, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর কাছে সুভাষচন্দ্রের বিষয়ে হয়ত সুনির্দিষ্ট খবর ছিল। তিনি হয়ত সেটাই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। তাছাড়া, কে এমন মানুষ হতে পারেন, যাঁর সঙ্গে দেখা হলে গোটা দেশে হইচই পড়ে যাবে!
এখনও সুনীল শাস্ত্রীর এই দাবি নিয়ে তেমন হইচই শুরু হয়নি। বিষয়টি তেমন প্রচারও পায়নি। তবে দু একদিনের মধ্যে আরও জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠতে পারে।