বৃষ্টি চৌধুরি
কাদা ঘাঁটতে মিডিয়ার জুড়ি নেই। একটা ঘটনার রেশ ফুরোতে না ফুরোতে অন্য একটা ঘটনা এসেই যায়। ব্যাস, একটা পেলেই হল। সেটাকে চটকে চচ্চড়ি না বানানো পর্যন্ত শান্তি নেই।
বছর দুই আগের কথা। নিজের বাড়িতে দিদি দেবযানীর কঙ্কালকে ছমাস ধরে আগলে রেখেছিলেন ভাই পার্থ। টানা এক মাস ধরে চলল এই বিকৃত ঘটনাকে ঘিরে নানা চর্বিত চর্বন। সেই ঘটনার রেশ যেতে না যেতেই এসে গেল আরেক বিকৃত মনস্কের কথা। সে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়েছিল। তাকে নিয়েও চলল প্রায় এক মাস।
সেইসঙ্গে যদি একটা পরকীয়া ইন্ধন থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। রসিয়ে রসিয়ে যতদিন না পিন্ডি চটকানো হবে, ততদিন শান্তি নেই। গত কয়েক মাসেও এমন খুচরো খুচরো ঘটনা অনেক ঘটেছে। যথারীতি সেগুলিকে নিয়ে আলোচনার আসর বসেছে। সেগুলিই উঠে এসেছে শিরোনামে।
কয়েকদিন বোধ হয় একটু ক্ষরা চলছিল। এসে গেল আকাঙ্খা আর উদয়নের কাহিনি। উদয়ন কীভাবে আকাঙ্খাকে খুন করল। কোথায় পুঁতে রাখল। কীভাবে নিজের বাবা–মাকে খুন করে পুঁতে রাখল, এই সব কয়েকদিন ধরেই নানা কেচ্ছা চলছে। নিশ্চিত থাকুন, আরও দিন পনেরো চলবে। যতদিন না এই জাতীয় আরেকটা বিকৃত কিছু পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন এই নোঙরা ঘাটা চলবে।
এমন একটা নিম্নরুচির কাজ শিরোনামে আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সারাদিন ধরে এটাই দেখাতে হবে? দেশে কি আর কিছুই ঘটছে না? প্রশ্ন হল কে বেশি বিকৃতমনস্ক? যারা এই কান্ডগুলি ঘটিয়েছে ? নাকি সারাদিন যারা এই কীর্তন চালিয়ে যাচ্ছে? এটাও বুঝি খুব সুস্থ রুচির পরিচয়? বিচারের ভারটা পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিলাম। বেঙ্গল টাইমসের কাছে এই নিয়ে একটা সুস্থ বিতর্কের আবেদন রাখলাম।