কোহলির শততম টেস্টের আগে এমন বিতর্ক কাম্য ছিল না

এতদিন যেটা ছিল জল্পনা, এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। বেঙ্গালুরুতে শততম টেস্ট খেলা হচ্ছে না বিরাট কোহলির। শততম টেস্ট খেলতে হবে মোহালিতে। সেক্ষেত্রে, বেঙ্গালুরুর টেস্ট হবে ১০১ তম টেস্ট। এর ফলে, বোর্ড বনাম বিরাট সংঘাত অন্য মাত্রা পেতে চলেছে। 


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শেষ হলেই ভারতে খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা। প্রাথমিক যে সূচি হয়েছিল, তাতে ঠিক ছিল, দুটি টেস্টের পর হবে তিনটি টি২০ ম্যাচ প্রথম টেস্ট হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে, দ্বিতীয় টেস্ট মোহালিতে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সূচিতে বদল আনতে চলেছে বোর্ড। আগে মোহালি টেস্ট আয়োজন করে তারপর বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্ট করতে চাইছে বিসিসিআই। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এই সূচি পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, এই সূচিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেলকেও এরকমই প্রাথমিক খসড়া পাঠানো হয়েছে। 
 
এই মুহূর্তে নিরানব্বই টেস্ট খেলে শততম টেস্টের অপেক্ষায় আছেন বিরাট। তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, বেঙ্গালুরুতেই শততম টেস্ট খেলতে চান। কারণ, আইপিএলে তিনি রয়্য্যাল চ্যআলেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের হয়ে দীর্ঘদিন খেলে আসছেন। সেটা একরকম ঘরের মাঠ বলেই মনে করেন। ঘরের মাঠে প্রিয সমর্থকদের সামনেই খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছেকে আমল দিচ্ছে না বোর্ড। সূত্রের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগেই এরকম একটা ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন বিরাট। অনেকে মনে করেন, বেঙ্গালুরুতে শততম টেস্ট খেলবেন, এই হিসেব করেই জোহানেসবার্গ টেস্টে বিরাট নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পিঠে চোট আছে। কিন্তু বিরাটের এই চোটের দাবি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি বোর্ডের কাছে। তাঁরা মনে করছেন, বিরাট ইচ্ছে করেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, পরে চোটের গল্প ফেঁদেছেন। তাই বোর্ড বিষয়টিকে মোটেই ভাল চোখে নেয়নি। অনেকেই মনে করছেন, সেই কারণে বিরাটকে শিক্ষা দিতেই টেস্টের সূচিতে অদল বদল আনা হয়েছে। 
 
বিরাটের সামনে বেঙ্গালুরুতে শততম টেস্ট খেলার একটি উপায় রয়েছে। মোহালি টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। সেক্ষেত্রে, বেঙ্গালুরুতেই হবে তাঁর শততম টেস্ট। এখন দেখার, বিরাট কী করেন। বোর্ডসূত্রে খবর, বিরাট যদি সত্যি কথা জানিয়ে মোহালিতে বিশ্রাম চান, বোর্ড মেনে নিতেও পারে। কিন্তু যদি আবার চোটের গল্প ফাঁদেন, সেক্ষেত্রে বোর্ডও পাল্টা চাল দিতে পারে।সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুতে হয়ত দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়াই হল না। মোদ্দা কথা, বিরাট যদি সংঘাত চালিয়ে যান, তাহলে বোর্ডও অন্যভাবেই তাঁকে শিক্ষা দিতে তৈরি। 
Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.