সোহম সেন
এ এক অদ্ভুত গোঁয়ার্তুমি।
জিতলেই উৎসব। কিন্তু হারলে সেই হারকে মেনে নিতে না পারার পুরনো রোগ।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পর্যুদস্ত ভারত।
খেলায় হার–জিৎ থাকে। তাই হারটাও অগৌরবের নয়। কিন্তু সেটাকে আড়াল করার এত মরিয়া চেষ্টা কেন? অন্যের জয়কে খাটো করে দেখানোর প্রয়াস কেন?
বিরাট কোহলি ঠিক সেটাই করলেন। জয়ীকে অভিনন্দন জানালেন। কিন্তু তারপরেও বলে বসলেন, একটা ম্যাচ দিয়ে কিছু বিচার হয় না। আমরা এতদিন ধরে ভাল ক্রিকেট খেলে এসেছি। একটা ম্যাচ হেরে গেলাম বলে আমরা সেরা দল নই, এটা মানতে রাজি নই।
ধরা যাক, অলিম্পিকে উসাইন বোল্টের কাছে ১০০ মিটার দৌড়ে কেউ হারার পর তিনি বললেন, ১০ সেকেন্ডের একটা দৌড় দিয়ে কী বিচার হয়? ও একটু আগে দৌড়েছে বলেই কি ওকে চ্যাম্পিয়ন মানতে হবে? ধরা যাক, যে কোনও বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর রানার্স দল বলল, ওরা একটা ম্যাচে জিতেছে বলে ওদের চ্যাম্পিয়ন মানি না। পুরনো রেকর্ড দেখা হোক। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর মেসি যদি এই কথাগুলো বলতেন, কেমন শোনাতো?
বিরাট কোহলির কথাগুলোও তেমনই হাস্যকর শোনাচ্ছে। কেন দুটো ইনিংসেই নিজে চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন, সেই আত্মসমালোচনা তিনি কখনই করবেন না। হারলেই এর–তার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া তাঁর অনেকদিনের অভ্যেস। এখন শোনা যাচ্ছে, একটা ফাইনালে তিনি নাকি সন্তুষ্ট নন। কই, আগে তো এমন কথা শোনা যায়নি। তাছাড়া, যদি ভারত জিতে যেত, তাহলে কি এই কথাগুলো বলতেন? তখন তো চ্যাম্পিয়নসুলভ ঢাক পেটানো ভাষণই দিতেন।
নেতা হওয়া মানে শুধু কৃতিত্ব নেওয়া নয়। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি সাঁটানো নয়। দায় নিতেও জানতে হয়। এই সহজ সত্যিটা বিরাট কোহলিকে কে বোঝাবেন!