যুবভারতীতে খেলা দেখতে গিয়ে এবার বেশ ভোগান্তি হল। ওড়িশার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দিন। অনলাইনে টিকিট কাটা হয়েছিল। আমারই এক বন্ধু কেটে দিয়েছিল। বলেছিল, ম্যাচের দিন একটু আগে গিয়ে যুবভারতীর কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
সেই মতো খেলা শুরুর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছেও গেলাম। আমার মতো আরও অনেকেই যুবভারতীর কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু জানতে পারলাম, টিকিট দেওয়া হবে না। অনলাইনের টিকিট নাকি দেওয়া হবে মোহনবাগান মাঠ থেকে। কোথায় সল্টলেকের যুবভারতী আর কোথায় গঙ্গার ধারে মোহনবাগান তাঁবু! হাতে সময়ও বেশি নেই। এই সময় মোহনবাগান তাঁবুতে গিয়ে টিকিট নিয়ে আবার যুবভারতীতে ফিরে আসতে হবে! যেতে–আসতে কতক্ষণ লাগবে, গেলেও টিকিটের জন্য কত লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না।
অনেকেই পড়ি মরি করে ছুটলেন মোহনবাগান তাঁবুর দিকে। আমি কী করব, সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না। এটুকু বুঝলাম, ওইভাবে টিকিট নিয়ে খেলা দেখার সময়ে হযতো ফিরে আসতে পারব না। বাধ্য হয়ে এদিক–ওদিক খোঁজ করে অন্য একজনের কাছ থেকে বাড়তি টিকিট কিনেই খেলা দেখলাম। যদি সেটাও না পেতাম, তাহলে হয়তো খেলা না দেখেই ফিরতে হত। আমার বক্তব্য, একে তো দূরের জেলা থেকে আসতে হচ্ছে। তার ওপর কলকাতায় পৌঁছে আগে মোহনবাগান মাঠে টিকিট সংগ্রহ করে যুবভারতীতে আসতে হবে? যুবভারতীতে বাড়তি কাউন্টার করে কি টিকিট বিতরণ করা যেত না? তাহলে, এত আগে থেকে অনলাইন টিকিট কেটে লাভ কী হল?
তাছাড়া, টিকিট যে মোহনবাগান তাঁবু থেকে তুলতে হবে, এমন কোনও আগাম ঘোষণাও ছিল না। খেলার দিন ফেসবুকে নাকি একটা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। জেলা থেকে আসা সমর্থকদের আবেগের কথা একটু ভাবুন। তাঁদের এত হয়রানির মধ্যে ফেলা সত্যিই কি খুব জরুরি? কীভাবে মানুষ আরও সহজে টিকিট পেতে পারেন, সেটা লক্ষ্য না হয়ে কীভাবে আরও ভোগান্তিতে ফেলা যায়, সেটাই যেন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।