বাড়ির সামনেই একটা বেঞ্চ পাতা। ঘরে ঢোকার আগেই সেদিকে চোখ চলে গেল। সামনে একেবারে খোলা জায়গা। সামনে কোনও বাড়ি নেই। কোনও জনপদ নেই। একেবারে খোলা পাহাড়। দূরে নাম না জানা সব পাহাড়ের সারি। আহা, এই বেঞ্চে বসেই তো অনন্ত সময়…

স্বরূপ গোস্বামী এখানে গেস্ট হাউস?‌ কে থাকতে আসবে এই জঙ্গলে?‌ কেনই বা আসবে?‌ ছেলের দিকে ঠিক এই প্রশ্নটাই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রবীণ মাস্টারমশাই। ছেলেও নাছোড়। এখানে তিনি গেস্ট হাউস বানিয়েই ছাড়বেন। ঠিকঠাক প্রোমোট করতে পারলে ট্যুরিস্ট ঠিক আসবে। বাবা–‌ছেলের এই কথোপকথনটা…

স্বরূপ গোস্বামী কমলালেবুর গ্রাম বলতেই সবার আগে ভেসে ওঠে সিটংয়ের নাম। ঘরে ঘরে থরে থরে কমলালেবুর গাছ। ইচ্ছেমতো পেড়ে নিলেই হল। কমলালেবুর খোঁজে সিটং গিয়ে হতাশও হতে হয়েছে। কমলার সিজন না জানলে যা হয়! মার্চ, এপ্রিলে গেলে কি আর কমলালেবুর…

বিপর্যয় কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গ। এবারের বিপদ হয়তো কাটানো গেল। কিন্তু আগামী বছর যেন আবার এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, এখন থেকেই সতর্ক থাকা দরকার। পরিবেশবিদদের পরামর্শ নেওয়া হোক। কঠোরভাবে সেই নির্দেশ পালন করা হোক। কোথায় ড্রেজিং দরকার,…

দরজা খুলে চোখটা একটু ধাতস্থ হতেই দেখি সামনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। চাঁদের রুপোলি আলো পড়ে বরফের চূড়াগুলো ঝকঝক করছে। কী অপরূপ তার সেই রূপ! মনে হচ্ছিল যেন কী অপার বিস্ময় লুকিয়ে আছে ওই পাহাড়ে।

পাহাড়ের ভোর। সে এক অনাবিল আনন্দ। সাতসকালেই একমুখ হাসি নিয়ে হাজির মনোজ তামাং। বললেন, সামনের ওই পাহাড়টায় চলে যান। আজ ওয়েদার খুব ভাল। কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কার দেখা যাবে।

মুঙ্গেরজং তাহলে কী দিল?‌ এক প্রগাঢ় শান্তি। যেখানে সিবিআই নেই, ইডি নেই। কাকু নেই, ভাইপো নেই। বিরাট নেই, অনুষ্কাও নেই। অফিস যাওয়ার তাড়া নেই। টিভির ব্রেকিং নিউজ নেই। যেখানে টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ নেই। আতঙ্কের সংক্রমণ নেই। যেখানে আপন মনে…

এই তাকদাতেই সতেরোখানা বাংলো বানিয়েছিলেন ব্রিটিশরা। এখানেই ছিল তাঁদের ক্যান্টনেন্ট। কালের নিয়মে কোনওটা ভগ্নপ্রায়। কোনওটা হয়েছে স্কুল। কোনওটা হয়েছে গেস্ট হাউস। মেঘমাখানো তাকদার সেই ইতিহাস উঠে এল স্বরূপ গোস্বামীর লেখায়।

দূরে কোথাও নয়। ভিনরাজ্যেও নয়। এই বাংলাতেই। নিশ্চয় দার্জিলিং! না, ঠিক তাও নয়। তবে খুব কাছাকাছি। আর ভনিতা না করে নামটা বলেই দেওয়া যাক- তিনচুলে। নামটা চেনা চেনা লাগছে ? যাঁরা বেড়ানোর ব্যাপারে খুব খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা হয়ত নাম শুনেছেন।…