উত্তম জানা
এই পর্যায়ে এসেও বুঝতে পারি, আমাদের কতকিছু শেখা বাকি আছে! একটা রান করতে শিখিনি! সিডনির ম্যাচের পর এমনটাই বললেন বিরাট কোহলি। কতদিনের জমে থাকা কত অভিমান যেন উগরে দিলেন।
আসলে, পার্থ ও এডিলেডে শূন্য রানে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলি। গেল গেল রব উঠে গিয়েছিল। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, সিডনিই তাঁর শেষ সুযোগ। এখানে ব্যর্থ হলেই চিরতরে ছেঁটে ফেলার চিত্রনাট্যও হয়তো তৈরিই ছিল। এবং টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে বাদ গেলে ক্রিকেটপ্রেমীদের সেই সহানুভূতিও হয়তো থাকত না। এত রেকর্ড, এত উজ্জ্বল পরিসংখ্যান, সব মানুষ হয়তো নিমেশে ভুলে যেত।
কিন্তু জীবন কার জন্য কী চিত্রনাট্য লিখে রাখে! সুনীল গাভাসকারের ক্ষেত্রে বলা গত, ‘জবাব দেবে একটি ব্যাট।’ বিরাট কোহলিও দেখিয়ে দিলেন, দিনের শেষে জবাব দেয় ব্যাট। টি২০ বিশ্বকাপে জিতেই সেই ঘরানাকে বিদায় জানিয়েছেন। টেস্টে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আচমকা অবসর ঘোষণা করেছেন।
খেলছেন শুধু ৫০ ওভারের ক্রিকেট। এই ঘরানায় তাঁর সবথেকে বেশি শতরান। কয়েক মাস আগে শেষ যখন খেলেছেন, তখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এনে দিয়েছেন। তারপরেও ‘ক্রিকেট বোদ্ধা’রা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। কবে তিনি অবসর নেবেন, সেই অপেক্ষায় দিন গুনেছে তামাম মিডিয়াকূল। কিন্তু তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নিজের শর্তে বাঁচেন। টি২০ বা টেস্টে কাউকে বলার সুযোগ দেননি। নিজেই সঠিক সময়ে অবসর নিয়েছেন। একদিনের ক্রিকেটেও বলতে হবে না। গ্রেটরা জানেন, কখন থামতে হয়। এখনও তিনি বেশ ছন্দে আছেন, সিডনিতে অন্তত এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন। কখন থামতে হবে, এটা কোহলির ওপরই ছেড়ে দিন।
