Categories খেলা

আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে অভিমন্যুকে!‌

সবুজ সরখেল

সেই ২০২১ সাল থেকে তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে ঘুরছেন। প্রথম দিকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। ২০২২ থেকে আর স্ট্যান্ডবাই নয়, ঘোষিত দলে। কিন্তু তিন বছর পরেও টেস্ট অভিষেক হল না অভিমন্যু ঈশ্বরনের। সত্যিই, কোন মানদণ্ডে টেস্ট দল বাছা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। অভিমন্যুর বাবা যে ক্ষোভ জানিয়েছেন, তা একেবারেই সঙ্গত।

অভিমন্যু সেই তিন বছর ধরে স্কোয়াডে আছেন, অথচ প্রথম এগারোয় তাঁকে কিছুতেই খেলানো হয় না। তাঁর পরে দলে ঢুকেছেন, এমন পনোরজন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়ে গেল। আট বছর পর করুণ নায়ারকে আবার ফিরিয়ে আনা হল। তবু অভিমন্যুর জায়গা হচ্ছে না!‌

আট বছর পর করুণ নায়ারের ফিরে আসা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। ইংল্যান্ডে প্রথম তিন টেস্টে তাঁকে সুযোগ দেওয়াও হয়েছিল। কোনওবারেই পঞ্চাশের গন্ডি পেরোতে পারেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বাদ দেওয়া হল। শেষ টেস্টে আবার তাঁকে ফেরানো হল। সাই সুদর্শনও বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছেন। অভিমন্যুকে কি সত্যিই একটা টেস্টেও খেলানো যেত না?‌ তিনি যদি এতই অযোগ্য, তাহলে পনেরো বা ষোল জনের দলে তাঁকে রাখা হয় কেন?‌

আইপিএলে কে কেমন খেলল, তা দেখে টি২০–‌র দল হতেই পারে, কিন্তু টেস্ট দল গড়ার ক্ষেত্রেও আইপিএল মানদণ্ড হবে কেন?‌ সেখানে রনজি ট্রফি, দলীপ ট্রফি বা ইরানি ট্রফির পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেখানে ধারাবাহিকভাবে রান পাওয়ার পরেও অভিমন্যু ব্রাত্য। অথচ, যাঁরা দলীপ ট্রফি বা ইরানি ট্রফিতেও সুযোগ পাচ্ছেন না, তাঁরা জাতীয় দলের প্রথম একাদশে ঢুকে পড়ছেন। একজন ক্রিকেটারকে জীবনের সেরা তিনটে বছর সাইড লাইনের ধারেই কাটাতে হল। এর দায় কোচ বা অধিনায়ক এড়াতে পারেন না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *