শরৎ, হেমন্ত এই ঋতুগুলোও যেন প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। মোটামুটি এগারো মাস গরম কাল। টেনেটুনে এক মাস শীতকাল। এটাই বাংলার সাম্প্রতিককালের ঋতুচক্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকী রচনার বইয়েও বোধ হয় শরৎকাল, হেমন্তকালের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি একটু হলেও অন্যরকম। গরম ছিল ঠিকই, তবে বর্ষা এসে তাকে অনেকটাই প্রশমিত করেছে। শরতের ঝলমলে নীল আকাশে দিব্যি সাদা মেঘের ভেলা ছিল। ভুলতে বসা হেমন্ত যেন একটু একটু করে সুর ছড়িয়েছে। আর শীত! এখনও তেমন কাঁপুনি আসেনি ঠিকই, তবে দীপাবলির আগেই কেমন যেন একটা হিমের পরশ। কবির ভাষায় বলতে হয়, শীত এলে বসন্ত আর কতই বা দূর!
প্রকৃতি যখন নিজেকে মেলে ধরছে, তখন চারপাশের স্তব্ধতা এখনও কাটেনি। কেমন যেন থমথমে আবহ। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে অনশন ও ধর্না চলেছিল পুজোর আবহেও। সেই ধর্না উঠেছে ঠিকই, কিন্তু ন্যায়বিচার এখনও বহুদূর। রাজ্য প্রশাসন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমনকী আদালত। সবার ভূমিকাই বেশ হতাশাজনক। তারই মাঝে চিকিৎসকদের আন্দোলন দেখিয়ে দিল, রাজনীতির পতাকাকে দূরে সরিয়ে রেখেও বৃহত্তর গণ আন্দোলন সম্ভব। সাধারণ জনতাও সমর্থনের দু’হাত বাড়িয়ে দিল। বুঝিয়ে দিল, সত্যিকারের আন্দোলনে মানুষ এখনও সাড়া দেয়। কিন্তু তারপরেও কি প্রশাসনের টনক নড়ছে? এমন কোনও ইঙ্গিত এখনও নেই। বরং কীভাবে আন্দোলনকে কালীমালিপ্ত করা যায়, সেই চেষ্টাই বড় বেশি বেআব্রু হয়ে পড়ছে।
তবু জীবন থেমে থাকে না। সে এগিয়ে চলে নিজের গতিতেই। পুজো সংখ্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার হাজির দীপাবলি সংখ্যা। ছাপা হরফের পুজো সংখ্যা এবার ছিল বাড়তি আকর্ষণ। উৎসবের আবহ হলেও কিছু অপ্রিয় প্রসঙ্গ টেনে আনতেই হয়েছে। রাজনীতি, খেলা, সাহিত্য, সিনেমা সর্বত্রই নানা ঘটনাপ্রবাহ থাকবে। বিতর্ক থাকবে। সেগুলোকে সীমিত পরিসরে একটু ছুঁয়ে দেখা। পাশাপাশি পুরনো কিছু নস্টালজিয়াকে একটু উস্কে দেওয়া। কিছু পুরনো বিভাগের পাশাপাশি কিছু নতুন বিভাগকেও শামিল করার একটা চেষ্টা। স্বল্প পরিসরে, স্বল্প সময়ে আবার ডানা মেলল বেঙ্গল টাইমস। সেই উড়ানে আপনাদেরও সাদর আমন্ত্রণ।
****
বেঙ্গল টাইমস। দীপাবলি সংখ্যা
৬০ পাতার ই–ম্যাগাজিন।
নিচের লিঙ্কে ক্লিক করলেই পড়তে পারবেন।
https://bengaltimes.in/wp-content/uploads/2024/10/DIPABOLI-SANKHYA.pdf