সবে তো চৈত্রের শুরু। এর মধ্যেই সূর্য যেন চোখ রাঙাতে শুরু করে দিয়েছে। শীতের রেশ তো কবেই ফুরিয়ে গেছে। বসন্ত ঋতুটা এখন নেহাতই কথার কথা। এখন বোধ হয় স্কুলের পরীক্ষাতেও আর এইসব রচনা আসে না। বসন্ত কী, উষ্ণায়নের আবহে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম বুঝবেই বা কী করে? এত কাল্পনিক বিষয় নিয়ে রচনা না আসাই ভাল।
কিন্তু সে এক সময় ছিল। মার্চ মানে মাধ্যমিকের শেষ। অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষাও শেষ। তারপরই খুলে যেত অন্য এক দিগন্ত। এসে যেত স্বাধীনতার স্বাদ। এতদিন পড়াশোনার চাপে যা যা করা যায়নি, এবার তাই তাই করে ফেলতে হবে। ওই গরমে ক্রিকেট তেমন জমত না। কিন্তু আত্মীয়দের বাড়িতে ছুটিতে চলে যাওয়া ছিল। পুকুরে সাঁতার কাটা ছিল। লাইব্রেরিতে নাম লিখিয়ে নতুন নতুন বই তোলার উন্মাদনা ছিল। সেই বইয়ের হাত ধরে রাত জেগে গোয়েন্দাদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব ছিল। আর টিভিতে ছিল ছুটি ছুটি। কত ভাল ভাল সিনেমা তো তখনই দেখা।
এখন সেই শৈশব, সেই কৈশোর যেন হারিয়ে গেছে। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই ইলেভেনের টিউশনি শুরু হয়ে যাচ্ছে। জয়েন্টের কোচিং সেন্টার গুলো তো মাধ্যমিক শুরুর এক বছর আগে থেকেই ভয় দেখাতে শুরু করে, এখনই ভর্তি হয়ে যান, পরে কিন্তু সিট খালি থাকবে না। অভিভাবকরাও সেই ফাঁদে পা দেন। ছেলে টেনে উঠতে না উঠতেই আগাম জয়েন্টের কোচিংয়ে নাম লিখিয়ে দিলেন। ফলে, ওরা ছুটির আনন্দটুকুই পায় না।
এবারের সংখ্যার প্রচ্ছদ কাহিনিতে সেইসব দিনকে একটু ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা। সেইসব দস্যি দামাল দিনগুলোয় একটু উঁকি দেওয়ার চেষ্টা।
*********
বেঙ্গল টাইমসের এই ই–ম্যাগাজিন পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। প্রচ্ছদের ছবিতেও ক্লিক করতে পারেন। দ্রুত পড়ে ফেলুন। ভাল লাগলে অন্যদের শেয়ার করুন।
https://bengaltimes.in/wp-content/uploads/2023/04/BENGAL-TIMES-16-MARCH-2023.pdf