সোহম সেন
কয়েক মাস আগের কথা। হঠাৎ করে বলা হল, সাদা বলের ক্রিকেটে দুই ধরনের অধিনায়ক থাকবে না। টি২০–র নেতৃত্ব আগেই ছেড়েছিলেন বিরাট কোহলি। এবার একদিনের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। নির্বাচকরা ব্যাখ্যা দিলেন, টি২০ তে একজন, একদিনের ক্রিকেটে আরেকজন, এটা কীভাবে হতে পারে? এতে বিভ্রান্তি অনেক বাড়বে।
কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই ছবিটা এমন আমূল বদলে যাবে, ভাবা যায়নি। এখন বলা হচ্ছে, রোহিষ শর্মা ৫০ ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্বে থাকুন। কিন্তু টি২০ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত। টি২০তে নেতৃত্বে আনা হোক হার্দিক পান্ডিয়াকে। তারই ট্রায়াল যেন শুরু হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড সফরে।
তার মানে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক! এটা আর নিছক দাবির স্তরে থাকছে না। নির্বাচকরা নাকি এটাই চাইছেন। বোর্ড কর্তারাও নাকি এটাই চাইছেন। আর এই চাওয়াতেই সিলমোহর পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ভাবতে অবাক লাগে, মাত্র কয়েক মাসে বোর্ডের ব্যাখ্যা কী আমূল বদলে গেল। রোহিতকে নেতা হিসেবে ব্যর্থ মনে হতেই পারে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে হার্দিককে নেতা বাছা হতেই পারে। তাই বলে, নিজেদের ব্যাখ্যাকে এভাবে গিলতে হবে! আসলে, পরিকল্পনার নামে যা শোনানো হয়, তাতে নিজেদেরই আস্থা নেই। দু’বছর ধরে এতরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা হল। অথচ, আসল সময়ে দেখা গেল, প্ল্যান বি বলে কোনও কিছুই নেই। দুই ওপেনার ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। কাউকে বাদ দেওয়া তো হলই না। এমনকী ব্যাটিং অর্ডার বদলানোও হল না। এত গবেষণার পরেও যুজবেন্দ্র চাহালের মতো স্পিনারকে কাজেই লাগানো হল না। তাহলে দু’বছর ধরে কী পরিকল্পনা হল?