কৃশানুকে দেখিয়ে বলতাম, ভারতের মারাদোনা

স্মৃতিটুকু থাক

আজ ১৪ ফেব্রুযারি। অনেকের কাছে দিনটা ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আমার কাছে দিনটা হল কৃশানু দে–‌র জন্মদিন। আমার মতো অনেকের কাছেই তিনি এক স্বপ্নের নায়ক।
আমি তখন ক্লাস নাইনের ছাত্র। ফুটবলের অন্ধ ভক্ত। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, কৃশানু দে–র ভক্ত। ডিফেন্স চেরা সেই থ্রু, আহা অসাধারণ। ওই একটা ঠিকানা লেখা পাস দেখার জন্য রাতের পর রাত জাগা যায়। বন্ধুদের বলতাম, এ হল ভারতের মারাদোনা। পরে দেখলাম, কাগজেও তাই লেখা হচ্ছে।

krisanu
আমরা ঘটি। কিন্তু শুধু কৃশানুর জন্যই কেন জানি না ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক হয়ে গেলাম। একদিন ময়দান চত্বরে দেখলাম, রাস্তা দিয়ে কৃশানু হেঁটে যাচ্ছেন। কথা বলব কিনা ভাবছিলাম। সাহস পাচ্ছিলাম না। ফ্যালফ্যাল করে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলাম। উনি বুঝতে পেরে বললেন, কিছু বলবে? আমি বোকার মতো প্রশ্ন করলাম, আপনি তো কৃশানু দে! উনি বললেন, কেন, কোনও সন্দেহ আছে!
বললাম, আমি আপনার ফ্যান। উনি হেঁসে বললেন, এমন ফ্যান যে চিনতেই পারছিলে না! আমি বললাম, না, মানে আপনাকে চোখের সামনে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। উনি বিশ্বাস করলেন। একটা বইয়ের পাতায় বেশ কয়েকটা সই দিয়েছিলেন। আরও একবার দেখা হয়েছিল। অনেক লোকের মাঝেও উনি ঠিক চিনতে পেরেছিলেন। সেই কৃশানুর মৃত্যুতে আমিও হাউ হাউ করে কেঁদেছিলাম। তাঁর মৃত্যু প্রায় তের বছর হয়ে গেল। তবু ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলেই সেই শিল্পী ফুটবলারের মুখটা বারবার মনে পড়ে যায়।

দিব্যেন্দু দে, বুনিয়াদপুর

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.