মহালয়ার ঠিক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল বেঙ্গল টাইমসের বিশেষ সংখ্যা। গত পাঁচ বছর ধরে নানা সময়ে এই জাতীয় সংখ্যা বেরিয়েছে। কখনও পুজো সংখ্যা, কখনও শীত সংখ্যা, কখনও দীপাবলি সংখ্যা, কখনও উত্তম বা ভ্রমণ সংখ্যা। পাঠক মহলে সেগুলিও বেশ ভালই সাড়া ফেলেছিল। এবার থেকে নিয়মিত এই ই–ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে। আপাতত মাসে দুটি। পরে প্রতি সপ্তাহে। ইতিমধ্যেই মহালয়া সংখ্যা বেশ ভালই সমাদৃত হয়েছে। অনেকেই লেখা পাঠাতে আগ্রহী। অনেকেই নানা বিষয়ে জানতে চাইছেন। তাই জরুরি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
রোজই বেঙ্গল টাইমসে নানারকম লেখা আপলোড হয়। অনেক পাঠকের পক্ষেই রোজ ফলো করা হয় না। বা কেউ দুপুরে সাইট খুললেন, রাতের দিকে হয়তো কয়েকটি লেখা আপলোড হল। সেক্ষেত্রে সেগুলি তাঁর না পড়াই থেকে যায়। তাছাড়া, সব লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করাও হয় না। সেই কারণেও অজানা থেকে যায়। নজর এড়িয়ে যায়।
পাঠকদের দিক থেকে দাবি আসছিল, সপ্তাহে একটি বিশেষ ম্যাগাজিনে যদি সেগুলি জায়গা দেওয়া যায়! প্রস্তাবটা মন্দ নয়। কিন্তু সোম–মঙ্গলবারের অনেক লেখাই শনিবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। সেগুলি রিপিট করার কোনও মানেই হয় না। তাছাড়া, সব লেখা যদি বেঙ্গল টাইমসে প্রকাশিত হয়, তাহলে পাঠক নতুন কী পাবেন? তাই, নতুন আর পুরনোর মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকবে। নতুন লেখার সঙ্গে বাছাই করে কয়েকটি পুরনো। এভাবেই প্রকাশিত হবে ই– ম্যাগাজিন।
রাজনীতি, সাহিত্য, খেলা, সিনেমা, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল–সহ নানা নিয়মিত বিভাগ থাকবে। আবার কোনও কোনও সংখ্যা হবে শুধুই সেই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন, ধরা যাক, কোনও একটা সংখ্যা শুধুই ভ্রমণ সংখ্যা। সেখানে শুধু ভ্রমণ বিষয়ক লেখাই থাকল। ধরা যাক, শতবর্ষে মান্না দে বা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা হল। সেখানে শুধু তাঁদের নিয়েই লেখা থাকবে। কোনও একটি সংখ্যা হয়ত শুধু গল্প সংখ্যা। কোনওটা অনু গল্প সংখ্যা। চেষ্টা থাকবে, মাসে অন্তত একটি বিশেষ সংখ্যা করার। সেইসব সম্ভাব্য সংখ্যার বিষয়ে আগাম ঘোষণাও থাকবে।
কিছু লেখা থাকবে আমন্ত্রিত। পাশাপাশি পাঠকদের জন্যও দরজা খোলা। তাঁরাও লিখতে পারেন। গল্প, অনু গল্প, ছড়া পাঠিয়ে রাখতে পারেন। ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখাও পাঠিয়ে রাখতে পারেন। সাম্প্রতিক কোনও সিনেমার রিভিউও পাঠাতে পারেন। মনোনীত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। উপযুক্ত সময়ে প্রকাশিত হবে।
সব লেখা যেন মিশে না যায়, সেই কারণে বিভিন্ন বিভাগের আলাদা কয়েকটি ই মেল আইডি–ও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিও যথাসময়ে জানানো হবে। পাঠকদের কাছে অনুরোধ, লেখা পাঠিয়ে দ্রুত ছাপার জন্য তদ্বির করবেন না। মনোনীত হলে ই মেল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনও কোনও লেখা বিশেষ সংখ্যার জন্য তুলে রাখা হবে। বেঙ্গল টাইমসে পাঠানো লেখা অন্তত তিনমাস অন্য কোথাও না পাঠালেই ভাল। তিন মাস পরেও প্রকাশিত না হলে সচ্ছন্দে অন্য কোথাও পাঠাতে পারেন।
সবাই যে লেখা পাঠাবেন, এমন নয়। ই ম্যাগাজিন সংক্রান্ত আপনার মতামত ও পরামর্শও পাঠাতে পারেন। যে কোনও সমালোচনাকেও উপযুক্ত গুরুত্ব দেওয়া হবে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় এই ই–ম্যাগাজিন আরও সমৃদ্ধ হোক।
লেখা ও মতামত পাঠানোর ঠিকানা:
bengaltimes.in@gmail.com