বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: জল্পনাই সত্যি হল। প্রসেনজিৎকে সরিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান করা হল রাজ চক্রবর্তীকে।
আগেই ইঙ্গিত ছিল, এবার প্রসেনজিৎকে হয়ত আর চেয়ারম্যান নাও করা হতে পারে। প্রসেনজিৎ নিজেও জানিয়েছিলেন, আমাকে যদি দায়িত্বে না রাখা হয়, সেটা যেন আগাম জানানো হয়। কাগজ পড়ে জানতে হলে, সেটা খুব দুঃখের হবে। সেটাই হল। ছাপার অক্ষরে প্রসেনজিৎ এরকম একটা আশঙ্কা প্রকাশ করার পরেও সামান্য সৌজন্যটুকু দেখাল না রাজ্য সরকার। গতবার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে অসৌজন্য দেখানো হয়েছিল, এবার প্রসেনজিতের সঙ্গেও ঠিক সেটাই হল।
অথচ, কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রসেনজিৎকে। একজন ছিলেন চেয়ারম্যান, তাঁকে পরেরবার সাধারণ কমিটির সদস্য করে রাখা যায়! একজন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, পরেরবার শুধু একটা দপ্তর দিয়ে তাঁকে মন্ত্রী করা যায়! রাজ চক্রবর্তী চেয়ারম্যান, তাঁর অধীনে থাকবেন প্রসেনজিৎ, অপর্ণা সেনরা! ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের গুরুত্ব কী, সেটাই এই সরকার এখনও বুঝে উঠতে পারল না। কতখানি অজ্ঞতা থাকলে রাজ চক্রবর্তীকে ফেল্ম ফেস্টিভ্যালের দায়িত্ব দেওয়া যায়! সারাজীবনে কটা বিদেশি ছবি দেখেছেন? কতটুকু ধারনা আছে? লে ছক্কা, চ্যালেঞ্জ, প্রেম আমার— এই যাঁর ছবির নমুনা, তিনি বাছবেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র!
যাঁরা সংস্কৃতি দপ্তর চালাচ্ছেন, তাঁদের সংস্কৃতির এমন দৈনদশা! যতটুকু মনে হয়, প্রসেনজিৎ হয়ত সদস্যও থাকতে চাইবেন না। বা ঘোষণা করে সরিয়ে না নিলেও হাজির থাকবেন না। অপর্ণা সেনও থাকবেন বলে মনে হয় না। আসলে, সম্মান দেওয়ার নাম করে এমন অসম্মান মেনে নেওয়া এই দুজনের পক্ষে সত্যিই কঠিন।চেয়ারম্যান রাজ, অথচ কমিটির সদস্য অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ! কারা বানালেন এই আজব কমিটি? তাঁদের সঙ্গে সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক আছে!