প্রসূন মিত্র
বইমেলা হঠাৎ পিছিয়ে গেল। ঘোষণা হয়েছিল, উদ্বোধন হবে ৩০ জানুয়ারি। হঠাৎ গিল্ড কর্তারা জানালেন, একদিন পিছিয়ে ওটা হবে ৩১ জানুয়ারি। এবং শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারির বদলে ১১ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, সোমবার।
কলকাতা বইমেলা আন্তর্জাতিক বইমেলা। আন্তর্জাতিক সূচি মেনেই এর আয়োজন হয়ে এসেছে। জানু্য়ারির শেষ বুধবার শুরু হয়। বারো দিনের মাথায়, অর্থাৎ দ্বিতীয় রবিবারে শেষ হয়। হঠাৎ এবার বদল কেন?
গিল্ডের পক্ষ থেকে দুটি যুক্তি দেখানো হচ্ছে। ১) ব্রিগেড সমাবেশের আগে সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে শাসকদেলর কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হবে। মাঠ পরিষ্কার করে শুরু করতে সময় লাগবে। ২) যাঁরা আন্তর্জাতিক অতিথি, তাঁরা নাকি জানেন ৩১ তারিখে উদ্বোধন।
দুটোর কোনওটাই বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি নয়। ব্রিগেডের সমাবেশ ১৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ, তার পরেও ১১ দিন হাতে পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে মাঠ তৈরি করা যাবে না? যদি ১১ দিনের মাথায় না হয়, তাহলে ১২ দিনের মাথায় হয়ে যাবে, গিল্ড কর্তারা এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কী করে?
বিদেশি অতিথিরা নাকি জানতেন ৩১ তারিখ উদ্বোধন। এটা তো একেবারেই হাস্যকর যুক্তি। এক বছর আগে থেকেই ঠিক ছিল ৩০ তারিখ উদ্বোধন। ডিসেম্বরেও ৩০ তারিখ উদ্বোধন জানিয়েই প্রেস কনফারেন্স করেছেন গিল্ড কর্তারা। তারপরেও বিদেশিরা যদি ৩১ তারিখ জানেন, তাহলে তার দায় ষোল আনাই গিল্ড কর্তাদের। গিল্ড কর্তারা এতবড় ভুল করেছেন? মনে তো হয় না।
তাহলে, সঠিক কারণটা কেউই জানাবেন না। তবে অনুমান করাই যায়। নিশ্চিত থাকতে পারেন, এর পেছনে নিশ্চিতভাবেই কোনও না কোনও অনুপ্রেরণা আছে। নিশ্চিতভাবে ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তাই তাঁর নির্দেশেই পেছনো হয়েছে উদ্বোধনের তারিখ। ওইদিন তাঁর কোথায় কী কর্মসূচি আছে, এখনও জানা নেই। তবে নিশ্চিতভাবেই তিনি কলকাতায় থাকবেন না।
আর এই সত্যিটা গিল্ড কর্তারা স্বীকার করতে পারছেন না বলেই আবোল তাবোল বকছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিতভাবেই ৩০ তারিখ কলকাতায় থাকবেন না। পরে মিলিয়ে নেবেন।