অনির্বাণ বোস
ভাবতে অবাক লাগে, এত অপকর্মের পরেও নির্মল মাজি কিনা মন্ত্রী হচ্ছেন! কী জানি, হয়ত তাঁকে স্বাস্থ্য দপ্তরও দেওয়া হতে পারে। এমনিতেই তাঁর মাতব্বরিতে স্বাস্থ্যদপ্তর বেসামাল। তার ওপর মন্ত্রী হয়ে গেলে কী করবেন, কে জানে!
রাজ্যে যে কয়েকজন বিধায়ক বারবার বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে উলুবেড়িয়ার এই বিধায়ক। তাঁর অপকর্মের তালিকা এতটাই লম্বা যে, বলে শেষ করা মুশকিল। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে তিনি যেন ত্রাসের সঞ্চার করেছেন। সংবাদপত্রে গত সাত বছরে অন্তত দুশো খানা প্রতিবেদন দেখানো যায়। কোথাও সুপারকে হেনস্থা করা হচ্ছে, কোথাও বিশি,্ট চিকিৎসককে অপদস্থ করা হচ্ছে। একের পর এক অচলাবস্থা। খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, আড়ালে সেই একটিই লোক। যে কোনও চিকিৎসকের কাছে একটু খোঁজ নিন। তাহলেই জানতে পারবেন, নির্মল মাজি ঠিক কেমন লোক।
এরপরেও যদি এই লোকটিকে মন্ত্রিসভায় আনা হয়, সেটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যের। তাঁর এতরকম অপকর্মের পরেও তাঁকে সেভাবে তিরষ্কার করা হয়নি, তা তো বোঝাই যায়। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই সজাগ হতেন, দিনের পর দিন এভাবে তিনি মাতব্বরি চালিয়ে যেতে পারতেন না। সেই মানুষটা এবার মন্ত্রিসভায় এলেন। নেত্রী তাঁর মতো করে ভেবেছেন। কিন্তু রাজ্যবাসী হিসেবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাখছি। নতুন নতুন অপকর্মের জন্য রাজ্যবাসী তৈরি থাকুন।

