রাতুল ভট্টাচার্য
কয়েকদিন ধরেই জোর প্রচার, এবার উত্তর কলকাতা লোকসভা থেকে নাকি দাঁড়াবেন অমিত শাহ। এই নিয়ে একটা ঘণ্টা খানেক সঙ্গে সুমন হয়ে গেল। বঙ্গ বিজেপি–র নেতারাও জল্পনাটাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বরং, এমন সম্ভাবনার কথাই জোর গলায় প্রচার করছেন।
শুরুতেই বলা যাক, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব যে গল্পই শোনান, এমনটা হওয়ার কোনও চান্স নেই। অমিত শাহকে হাজার বুঝিয়েও উত্তর কলকাতায় দাঁড়াতে রাজি করাতে পারবেন না। জেতা–হারা তো পরের প্রশ্ন, তিনি দাঁড়াতেই রাজি হবেন না। যতই ২২ আসন, ২৬ আসনের আস্ফালন হোক, এই রাজ্যে বিজেপির সম্ভাবনা কতটা, তা অমিত শাহর অজানা নয়। পাঁচ বছর আগের নির্বাচনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালই লড়াই করেছিলেন রাহুল সিনহা। তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তাই অনেকে মনে করছেন, এবারও হয়ত দারুণ লড়াই হবে।
হ্যাঁ, এবারও দাঁড়ালে অমিত শাহ দ্বিতীয় হবেন, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। হয়ত বামেদের জামানত বাজেয়াপ্তও হতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে ব্যবধানটাও লাখের উপর থেকে যাবে। আগেরবার একটা মোদি–হাওয়া ছিল। যার ফলে, রাহুল সিনহার মতো জনভিত্তিহীন প্রার্থীও দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবার সেই হাওয়া নেই। ফলে, অমিত শাহ দ্বিতীয় হলেও ব্যবধানটা অন্তত লাখের উপর থাকার কথা। তাছাড়া, অমিত শাহকে ঘিরে বিজেপির উৎসাহ যত না থাকবে, অমিত শাহকে হারানোর উৎসাহ তৃণমূল শিবিরে আরও বেশি থাকবে। তাছাড়া, অমিত শাহের সেই ক্যারিশ্মা নেই, যা দিয়ে তিনি ফলাফল উল্টে দিতে পারেন।
তাই যতই জল্পনা চলুক, যতই টিভি চ্যানেলে আলোচনা চলুক, অমিত শাহর কলকাতায় দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি একান্তই দাঁড়াতে হয়, তিনি কোনও নিরাপদ আসনের সন্ধান করবেন। এমন আসনকে কখনই বেছে নেবেন না। সেই কারণেই উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচন নয়, গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় আসার সহজ ও নিরাপদ রাস্তাটাই বেছে নিয়েছেন। এই অমিত শাহ আর যাই হোক, কলকাতায় দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নেবেন না।