ত্রিপুরাতেও অনুপ্রেরণা–‌র হাওয়া বইছে!‌

সুরঞ্জন মিত্র

কোনও একটি আসনে উপনির্বাচন কখন হয়?‌ কেউ মারা গেলে। অথবা, কেউ পদত্যাগ করলে। কখনও শুনেছেন মোট আসনের ৫২ শতাংশ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে? এই দেশে এমন নজির আছে?‌ হ্যাঁ, এমনই এক নজির তৈরি হল ত্রিপুরায়।

এই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল আরও এক রেকর্ড। যেসব আসনে উপনির্বাচন, তার ৯৮ শতাংশ আসনে বিনা লড়াইয়েই জয় পেল বিজেপি। এই রাজ্যের পঞ্চায়েতে তৃণমূলের রেকর্ডকেও যেন দশ গোল দিল ত্রিপুরার বিজেপি।

একসঙ্গে ৫২ শতাংশ আসনে উপনির্বাচন কেন?‌ এতজন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কি তাহলে মারা গেছেন?‌ মৃত্যুর সংখ্যাটা মেরেকেটে এক শতাংশ। বাকি ৫১ শতাংশ কার্যত জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে।

biplab deb2

এখানে শ্রীমান অনুব্রতরা ব্লক অফিসে উন্নয়ন দাঁড় করিয়েছিলেন, যেন কেউ মনোনয়ন না দিতে পারে। কিন্তু ওখানে শ্রীমান বিপ্লব কুমার পাড়ার মোড়ে মোড়ে উন্নয়ন দাঁড় করিয়েছিলেন। যেন কেউ বাড়ি থেকেই না বেরোতে পারে। মাত্র কয়েক মাস হল, সেখানে পালাবদল হয়েছে। সেই ভোটেও সিপিএম প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেই বামেরা ৯৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না?‌ এটা বিশ্বাসযোগ্য?‌

বাংলায় যে গুণ্ডামি আয়ত্ব করতে তৃণমূলের সাত বছর লাগল, ত্রিপুরায় বিজেপি সেটা সাত মাসেরও কম সময়ে আয়ত্ব করেছে। দিলীপ ঘোষ অ্যান্ড কোং কী বলেন, জানতে খুব ইচ্ছে করে। যাঁরা ভাবছেন, তৃণমূলের অপশাসন দূর করতে বিজেপিকে আনা দরকার, তাঁরা শিক্ষা নেবেন বলে মনে হয় না। তবে তাঁদের কাছে এই তথ্যগুলো তুলে ধরা দরকার। ‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.