সুমিত চক্রবর্তী
যাক, মাল্টিপ্লেক্স নিয়ে অবশেষে সরকার ভাবছে। শোনা যাচ্ছে, মাল্টিপ্লেক্সে এবার নাকি ১২০ দিন বাংলা ছবি চালাতেই হবে। ১২০ দিন মানে, ৪ মাস। তার মানে, বাকি ৮ মাস চলবে না। অবশ্য, বারো মাসই যে ভাল মানের বাংলা ছবি হয়, এমনও নয়।
তবে আমি অন্য একটা বিষয় নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এমনিতেই সব মাল্টিপ্লেক্সে টিকিটের দাম অনেক বেশি। সন্ধের দিকে বা ছুটির দিনে তো আরও বেড়ে যায়। এই টিকিটের খরচ না হয় তবু ম্যানেজ করা যায়। কিন্তু খাবারের দাম অসম্ভব বেশি। এক লিটার জলও কিনা পঞ্চাশ টাকা! সামান্য ঠান্ডা পানীয়, তাও প্রায় একশো টাকা। আলু ভাজা (পোশাকি নাম যাই হোক, ওটা আলু ভাজাই) কিনা একশো টাকার ওপর! নুডলস বা পাস্তা বা মোমো, যাই নিন, ওই একশো কুড়ি–পঁচিশ। বাইরের থেকে কিছুটা বেশি হতেই পারে। তাই বলে তিন–চার গুন!
তার থেকেও যেটা আপত্তিকর, তা হল বাইরের খাবার নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলতেই পারেন, আমার দাম বাপু এই, খেতে হলে খাও, নইলে খাওয়ার দরকার নেই। যার যেমন সামর্থ্য, সে তেমন খাক, এতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু সেই দাম দিয়ে খাবার নিতে বাধ্য করা তো একরকমের জুলুমবাজি। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঢুকতেও দেওয়া হবে না। আকাশছোঁয়া দাম দিয়ে মাল্টিপ্লেক্সের খাবার খেতে হবে, এ কেমন নিয়ম?
শুনেছি, মহারাষ্ট্রে নাকি সরকার নিয়ম চালু করেছে, বাইরের খাবার আনা যাবে। আমাদের রাজ্যে এমন নিয়ম চালু করা যায় না? মাল্টিপ্লেক্স বেশি দামে খাবার বিক্রি করতেই পারে। কিন্তু বাইরের খাবার নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক। ১২০ দিনের নির্দেশিকার সঙ্গে খাবার সংক্রান্ত নির্দেশিকাটিও জুড়ে দেওয়া হোক।
(এটি ওপেন ফোরামের লেখা। মতামত লেখকের ব্যক্তিগত। আপনিও নানা বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। পরামর্শ বা প্রস্তাব দিতে পারেন। আপনার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে। চিঠি লিখুন বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়। )
bengaltimes.in@gmail.com